ডেস্ক নিউজ : বিশ্বমন্দার পাশাপাশি ইউরোপ-আমেরিকার মতো পোশাক আমদানিকারক দেশগুলোর রাজনৈতিক সমীকরণের মাঝেও চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশ থেকে ৪.৯৭২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের তৈরি পোশাক রফতানি হয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসের ২০ তারিখ পর্যন্ত রফতানি আয় হয়েছে ১.৭২৯ বিলিয়ন ডলার। রাজনৈতিক অস্থিরতায় গত বছরের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের রফতানি আয়ের প্রবৃদ্ধি ছিল পুরোপরি নেতিবাচক।
এক সময় ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ২৭টি দেশ এবং যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের মূল বাজার হিসেবে চিহ্নিত হলেও এখন পরিস্থিতি পাল্টে গেছে। এসব দেশে পোশাক রফতানি কিছুটা কমলেও নতুন বাজারগুলোই আশার আলো দেখাচ্ছে বাংলাদেশকে। বিশেষ করে প্রতিবেশী দেশ ভারতের পাশাপাশি চীন, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, আরব আমিরাত, রাশিয়া ও দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোতে বেড়েছে তৈরি পোশাক রফতানি।
সনেট গার্মেন্টস লিমিটেডের পরিচালক গাজী মো. শহীদ উল্লাহ বলেন, নতুন বাজারগুলো যেভাবে বাংলাদেশের দিকে ঝুঁকছে, সেই প্রবণতা ধরে রাখতে হবে। এজন্য নতুন নতুন পণ্য উদ্ভাবন বজায় রাখতে হবে। বাংলাদেশ ২০২৩ সালে এসব অপ্রচলিত বাজারে ৮.৮৭১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রফতানি করলেও চলতি বছর তা ১০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ)। সংগঠনটির সহ-সভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী বলেন, গত বছরের শেষ ৩ মাসে রফতানি অর্ডার কমে গিয়েছিল। তবে নতুন বছরে আবারও তা ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
গ্রাফিক্স চিত্রে অপ্রচলিত বাজারে দেশের রফতানি আয়
রফতানি সংকটের মাঝেও শ্রমিকদের নতুন বেতন কাঠামো যেমন কার্যকর হয়েছে, তেমনি আগামী এক মাসের মধ্যে ঈদের বোনাস হিসাবে বিশাল অংকের টাকা পরিশোধেরও চাপ রয়েছে। এ অবস্থায় ছোট আকৃতির গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানগুলো রুগ্ন শিল্পে পরিণত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। ফলে বেকার হয়ে পড়তে পারে হাজার হাজার গার্মেন্টস শ্রমিক।
ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরামের চেয়ারম্যান এস এম আবু তৈয়ব বলেন, নতুন বেতন কাঠামো ও ঈদের বোনাসের কারণে পোশাক শিল্পখাত সংকটের মধ্যে পড়তে পারে। সরকার আগের মতো প্রণোদনা ও স্বল্প সুদে ঋণ সহায়তা দিয়ে সাহায্য করলে সংকট মোকাবেলা করা সহজ হবে। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে ৪৭.৩৮৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রফতানি করে বাংলাদেশ, যা আগের বছরের তুলনায় ১.৬৭৭ বিলিয়ন ডলার বেশি।