
ডেস্ক নিউজ : বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে শিল্প মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়, জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেতে গত ৬ ফেব্রুয়ারি আবেদন করেছিলেন টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম। এর প্রেক্ষিতে টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধন দেয়া হয়েছে।
টাঙ্গাইল শাড়ির বর্ণনায় প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, টাঙ্গাইল শাড়ি সম্পূর্ণ হাতে বুনন করা হয়। তবে বর্তমানে মেশিন তাঁতেও বুনন করা হয়ে থাকে। যমুনা, ধলেশ্বরী নদীর পার্শ্ববর্তী টাঙ্গাইল জেলা অবস্থিত হওয়ায় এখানকার জলবায়ু শাড়ি বোনার উপযোগী।
নদীর পানির বিশেষ বৈশিষ্ট্যের জন্য সুতার প্রক্রিয়াজাতকরণ (যেমন: সুতা রঙ করা, মাড় দেয়া) ভাল হয় এবং রঙের স্থায়িত্বের পাশাপাশি কাপড়ের স্থায়িত্ব ও গুণগতমান বৃদ্ধি পায়। শাড়ির পাড়ের নকশায় বৈচিত্র্য রয়েছে। পুরো বুননের পর পাড়ের ও জমিনের কিছু কিছু নকশা আলাদাভাবে হাতে বুনন করা হয়।
টাঙ্গাইল শাড়িকে আরামদায়ক পরিধেয় বস্ত্র উল্লেখ করে আরও বলা হয়, এটি যেকোন ঋতুর সময় পরিধান করার উপযোগী। টাঙ্গাইল শাড়ি মার্জিত, রুচিশীল ও আভিজাত্যপূর্ণ।
এর আগে গত ১ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইল শাড়িকে নিজেদের ভৌগলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য উল্লেখ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দেয় ভারতের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। এতে ভার্চুয়াল মাধ্যমে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বাংলাদেশি নেটিজেনরা। ব্যাপক বিতর্ক ও সমালোচনার মুখে দুই দিনের মধ্যে পোস্ট সরিয়ে নিয়েছে ভারতের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়।
এদিকে, বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে টাঙ্গাইল শাড়িকে স্বীকৃতি দিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদফতর (ডিপিডিটি)। পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ইতোমধ্যে ভারত টাঙ্গাইল শাড়িকে তাদের জিআই পণ্য ঘোষণা করায় আইনগত বিষয় নিয়ে চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে। প্রয়োজনে বিশ্ব মেধাসম্পদ সংস্থা বা ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি অর্গানাইজেশনের মাধ্যমে (ডাব্লিউআইপিও) সমাধানের জন্য উদ্যোগ নেয়া হবে।
কিউটিভি/আয়শা/০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪,/বিকাল ৪:৪৫






