
ডেস্ক নিউজ : দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে চাল, ভোজ্যতেল, চিনি ও খেজুর-এই চার পণ্যের শুল্ক কমানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বা এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো রহমাতুল মুনিম স্বাক্ষরিত আলাদা চারটি প্রজ্ঞাপনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। এর আগে রমজানের আগে এসব পণ্যের শুল্ককর কমাতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে এনবিআরের কাছে অনুরোধ জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সেদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক পুরোপুরি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সেদ্ধ ও আতপ চাল আমদানিতে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক বা রেগুলেটরি ডিউটি ২৫ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। এ সুবিধা চাল আমদানিকারকেরা পাবেন আগামী ১৫ মে পর্যন্ত। তবে এ সুবিধা পেতে আমদানির প্রতিটি চালানের বিপরীতে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তার লিখিত অনুমোদন লাগবে।
এদিকে রোজার অন্যতম অনুষঙ্গ খেজুর আমদানির ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ কমানো হয়েছে। বর্তমানে খেজুর আমদানিতে আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ। রমজানকে সামনে রেখে সেটি কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। খেজুর আমদানিকারকেরা ১০ শতাংশ কম শুল্কে আমদানির এ সুবিধা পাবেন আগামী ৩০ মার্চ পর্যন্ত।
এ ছাড়া পরিশোধিত ও অপরিশোধিত উভয় ধরনের চিনি আমদানির ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক কমানো হয়েছে। অপরিশোধিত চিনি আমদানিতে প্রতি মেট্রিক টনে আমদানি শুল্ক কমিয়ে এক হাজার টাকা করা হয়েছে। আগে যা ছিল দেড় হাজার টাকা। আর পরিশোধিত চিনি আমদানিতে টনপ্রতি আমদানি শুল্ক কমিয়ে করা হয়েছে দুই হাজার টাকা, আগে যা ছিল তিন হাজার টাকা। এনবিআর জানিয়েছে, পরিশোধিত ও অপরিশোধিত চিনি আমদানিতে এ শুল্ক ছাড় পাওয়া যাবে ৩১ মার্চ পর্যন্ত।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এসব সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হবে। এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের জারি করা এসব প্রজ্ঞাপন জারির তারিখ হিসেবে উল্লেখ রয়েছে ৭ ফেব্রুয়ারি। যদিও তা আজ জানা গেছে। সেই হিসেবে শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্তগুলো এরই মধ্যে কার্যকর হয়ে গেছে বলে জানান এনবিআর–সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
গত ২৯ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে রমজান উপলক্ষ্যে ভোজ্যতেল, চিনি, খেজুর ও চালের ওপর শুল্ক কমানোর নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রমজানে যাতে এসব পণ্যের সরবরাহ কম না হয়।’
কিউটিভি/আয়শা/০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪,/বিকাল ৩:৫৫






