
ডেস্ক নিউজ : বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) চলতি সপ্তাহের পঞ্চম ও শেষ কার্যদিবস শেষে এ তথ্য জানা যায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)
ডিএসইতে বৃহস্পতিবার প্রায় ১৭ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে। এদিন লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৮৫৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকার শেয়ার। এর আগে সবশেষ ২ হাজার ৮৩২ কোটি ৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছিল ২০২২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর।
ডিএসইতে এদিন একটি বাদে বেড়েছে সবকটি সূচকের মানও। প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ২০ দশমিক ৮৫ পয়েন্ট ও ডিএস-৩০ সূচক ২ দশমিক ৯৩ পয়েন্ট বেড়ে যথাক্রমে অবস্থান করছে ৬ হাজার ৩৭৩ দশমিক ৩৫ পয়েন্টে ও ২ হাজার ১৩৮ দশমিক ২২ পয়েন্ট। তবে ডিএসইএস সূচক শূন্য দশমিক ১৮ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৩৮৭ দশমিক ৩২ পয়েন্টে।
এছাড়া বৃহস্পতিবার ডিএসইতে ৩৯৪টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এরমধ্যে দাম বেড়েছে ২১০টি কোম্পানির, কমেছে ১৪০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের শীর্ষে ছিল সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস। এ ছাড়া আইএফআইসি ব্যাংক, ওরিয়ন ইনফিউশন, মালেক স্পিনিং মিলস্, ফরচুন সুজ, ফু-ওয়াং সিরামিক, ফু-ওয়াং ফুডস, অলিম্পিক এক্সেসরিস, অ্যাডভেন্ট ফার্মা ও বাংলাদেশ থাই অ্যালুমিনিয়াম ছিল শীর্ষ ১০টি প্রতিষ্ঠানের তালিকায়।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)অন্যদিকে দেশের অপর পুঁজিবাজার সিএসইতেও এদিন বেড়েছে সব সূচকের মান। বৃহস্পতিবার সিএসইতে সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১২০ দশমিক ৯০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ২৯৫ দশমিক ৯০ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসসিএক্স সূচক ৭২ দশমিক ৭২ পয়েন্ট ও সিএসই-৫০ সূচক ১১ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১০ হাজার ৯৫১ দশমিক ৭১ পয়েন্টে ও ১ হাজার ২৮৯ দশমিক ৪৪ পয়েন্টে।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)অন্যদিকে দেশের অপর পুঁজিবাজার সিএসইতেও এদিন বেড়েছে সব সূচকের মান। বৃহস্পতিবার সিএসইতে সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১২০ দশমিক ৯০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ২৯৫ দশমিক ৯০ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসসিএক্স সূচক ৭২ দশমিক ৭২ পয়েন্ট ও সিএসই-৫০ সূচক ১১ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১০ হাজার ৯৫১ দশমিক ৭১ পয়েন্টে ও ১ হাজার ২৮৯ দশমিক ৪৪ পয়েন্টে।
আর সিএসই-৩০ সূচক ১৯ দশমিক ৪১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৪৩৮ দশমিক ২৯ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসআই সূচক অবস্থান করছে ১ হাজার ১৭২ দশমিক ৫১ পয়েন্টে। সূচক বেড়েছে ৪ দশমিক ৬৭ পয়েন্ট।
এদিকে, বৃহস্পতিবার সিএসইতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণও। লেনদেন হয়েছে ৩৬ কোটি ২৮ লাখ টাকার শেয়ার। আর এর আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ২৯ কোটি ২৩ লাখ টাকার শেয়ার। লেনদেন বেড়েছে ৭ কোটি ৫ লাখ টাকা।
সিএসইতে ৩০৩টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫১টির, কমেছে ১২০টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৩২টি কোম্পানির শেয়ারদর।
এর আগে পুঁজিবাজারে কর্মচঞ্চলতা ফেরাতে গত ১৮ জানুয়ারি বেশিরভাগ শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস তুলে নিয়েছিল নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। তবে ৩৫ প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ফ্লোর প্রাইস বহাল রাখা হয়েছিল। ২২ জানুয়ারি সেখান থেকে ২৩ টি প্রতিষ্ঠানের ফ্লোর প্রাইস বাতিল করেছে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
এরপর গত ৬ ফেব্রুয়ারি আরও ৬টি প্রতিষ্ঠানের ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয়ার ঘোষণা দেয় বিএসইসি। এর মধ্যে আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, অরিয়ন ফার্মা ও রেনাটা ফ্লোর প্রাইস ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে বাতিল কার্যকর হয়েছে। তবে রেকর্ড ডেটের পর বিএটিবিসি, জিপি ও রবির শেয়ারের ফ্লোর প্রাইসও তুলে নেয়া হবে।
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম সময় সংবাদকে জানান, পুঁজিবাজার ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে কমিশন ৬ প্রতিষ্ঠান বাদে বাকিগুলোর ফ্লোর প্রাইস তুলে দেয়া হয়েছে। ফ্লোর প্রাইস তুলে দেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্বাভাবিক সার্কিট ব্রেকার কার্যকর হবে। আর ফ্লোর প্রাইসের আওতায় থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয়ার কারণে বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং বাজারে গতি ফিরে আসবে বলেও আশা রেজাউল করিমের। এর আগে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে শেয়াববাজারে সূচকের পতন ঠেকাতে ২০২১ সালের জুলাই শেষে প্রতিটি শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করে বিএসইসি। ফ্লোর প্রাইস ছিল বছরের ২৮ জুলাই ও তার আগের চার দিনের ক্লোজিং প্রাইসের গড়।
তবে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে ১৬৯টি কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয়া হয়েছিল। পরে ২০২৩ সালের মার্চে আবার ১৬৯টি কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস চালুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এরপর থেকে সব শেয়ারে ফ্লোর প্রাইস ছিল।
কিউটিভি/আয়শা/০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪,/বিকাল ৩:৪০






