
লাইফস্টাইল ডেস্ক : সঠিক পুষ্টি পাওয়ার একটি সহজ মাধ্যম হলো ডায়েটে ডিম রাখা। দরিদ্র থেকে শুরু করে নিম্ন মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত বা ধনী যা-ই বলুন না কেন, সবারই ডিম রয়েছে প্রিয় খাবারের তালিকায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডিম সিদ্ধ অবস্থায় খেলে সবচেয়ে বেশি পুষ্টি পাওয়া যায়। সাধারণত সকালের নাশতায় বাড়িতে, অফিসে এবং স্কুলের টিফিনের জন্য ডিম সিদ্ধ খাওয়া হয়ে থাকে। ডিম সিদ্ধ করে সঙ্গে সঙ্গে খাওয়া হলে তা সবচেয়ে নিরাপদ বলে মনে করছেন পুষ্টিবিদরা। তবে অনেকেই ডিম সিদ্ধ করে তা সঙ্গে সঙ্গে খান না। রেখে দেন পরে খাওয়ার জন্য। এ অভ্যাস থাকলেই বিপদে পড়তে পারেন আপনি।
আবার অনেকে বাসা থেকে ডিম সিদ্ধ করে দিচ্ছেন স্কুলে বাচ্চাদের টিফিনের জন্য। নিজের জন্য অফিসেও নিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু এভাবে খাওয়াটা কতটা স্বাস্থ্যসম্মত বলে মনে করছেন আপনি?পুষ্টিবিদরা বলছেন, ডিম সংরক্ষণ করতে ৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম তাপমাত্রা প্রয়োজন। তাই ডিম সিদ্ধ করার তিন ঘণ্টার মধ্যে তা খেয়ে ফেলা ভালো। আর তা না হলে ডিমের সম্পূর্ণ পুষ্টি থেকে আপনি বঞ্চিত হবেন। তা ছাড়া সিদ্ধ ডিম না খেয়ে তার পরে খাওয়ার জন্য রেখে দিলে ডিমে পুষ্টিগুণ কমার পাশাপাশি হানা দেয় ব্যাকটেরিয়াও।
তাই, যদি কোনো কারণে সিদ্ধ ডিম না খেয়ে ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে হয়, তবে খোসাসহ তা ফ্রিজে সংরক্ষণ করুন। এভাবে সর্বোচ্চ সংরক্ষণ করা যাবে দু-তিন দিন। তবে দু-তিন দিনের সংরক্ষিত সিদ্ধ ডিম সরাসরি খাবেন না। সে ডিম তরকারি রান্না করে খেলেই বেশি ভালো বলে মনে করছেন পুষ্টিবিদরা।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
কিউটিভি/আয়শা/০৩ এপ্রিল ২০২৩,/বিকাল ৪:৪৫