
প্রিয়তম
————-
প্রিয়তম জানো তো?
যে কথা বলতে এসেছি
এই যে তোমার সাথে জানাজানি হলো!
আলাপ চারিতা হলো
এতো টুকু কি যথেষ্ট নয়?
নাকি আরও সময় চেয়ে
দূরে রাখতে চাও?
প্রিয়তম জানো তো?
শুধু তুমি আছো বলে
এ-শহরকে বেপরোয়া সুন্দর লাগে!
তুমি আছো বলেই তো
এ-শহর আমাকে বেঁধে রাখে,
কিন্তু তুমি বুঝলে না।
প্রিয়তম জানো তো?
চোখ নষ্ট যাদের
তারা মনের চোখে বাঁচে!
কিন্তু যদি মনের চোখেই নষ্ট হয়ে যায়
তবে সে কি নিয়ে বাঁচবে?
প্রিয়তম জানো তো?
তোমাকে একটি দিন না দেখলে
তোমার সাথে কথা না বললে,
কি যে অভাবে থাকি!
তা শুধু এই হৃদয় জানে
শুধু তুমিই জানলে না।
প্রিয়তম জানো তো?
ভেবেছিলাম একদিন তোমাকে উপহার দিবো
চিৎকার করে বলবো!
আমি তোমাকে ভালোবাসি বড্ড ভালোবাসি,
সেদিন যে যা ভাবার ভাবতো
কোনও পরোয়া করতাম না।
প্রিয়তম জানো তো?
আমার বুকের ভিতরে
যে হাহাকার রেখে যাচ্ছো!
আর আমি যে সমুদ্র পরিমাণ
চিৎকার নিয়ে যাচ্ছি,
আমার নদী গুলো কিন্তু একদিন মোহনা পাবে!
জোয়ার এলে দুকূল ছাপাবে
সেদিন যেই দিকে মন চাবে
চলে যাবো সেই দিকেই।
প্রিয়তম জানো তো?
মৃত্যুর মতো সব শোকের স্মরণসভা হয় না সমভাবে!
অথচ হৃদয় ভাঙার শোক
মৃত্যুর থেকেও বড়
এটি তুমি বুঝেও বুঝলে না।
প্রিয়তম জানো তো?
আর কোনও প্রশ্ন নেই তোমার কাছে,
আর কোনও অভিযোগ নেই!
যেটুকু শ্বাস আছে
সেটুকু দিয়ে তোমাকে মন থেকে দোয়া করে যাই
ভালো থেকো সর্বক্ষণ তুমি
তোমার মতো করেই।
কবি পরিচিতিঃ স্নেহা আফরোজ সুইটি বাংলাদেশের উত্তরে নীলফামারীতে বাস করেন। নিয়মিত কাব্যচর্চা করেন। বাংলাদেশ কবি পরিষদ (বাকপ) এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ঠ। আজকের কবিতাটি তাঁর ফেসবুক টাইমলাইন থেকে অনুমতি স্বাপেক্ষে সংগৃহিত।
কিউএনবি/বিপুল/১২.০৯.২০২২/সন্ধ্যা ৬.২০