
স্মৃতি যাপন
————–
স্মৃতি রোমন্থন করা যায়, স্মৃতিতে বাস করা যায় না। অবসরে স্মৃতির চন্দনবাক্স খুলে বসলাম। একটা সুখঝরা স্মৃতির কথা বলি।
দাপ্তরিক কোন একটি মিটিং করতে কুমিল্লার বার্ডে অবস্থান করছি। বিদ্যুত চলে গেলো। চারদিক নিস্তবদ্ধতায় মোড়া। হল ঘরের বাইরে এসে দাড়াঁলাম। চুল এলোমেলো করা খানিক ক্ষ্যাপাটে বাতাস বইছে মাঝে মাঝে । রাত্তির আটটার কাছাকাছি।
জানেন তো,একদল পেশাজীবি মানুষ আছেন যারা স্থানান্তরিত হয়ে ঘুরে ঘুরে ইটেঁর ভাটায় কাজ করেন। মৌসুমী এই শ্রমিকদের এমনি একটি দল বার্ড ঘেঁষে তাদের অস্থায়ী ছাপড়ায় ঠাঁই নিয়েছেন। অমন ঘোর লাগা স্তবদ্ধতাকে কাপিঁয়ে দিয়ে সেই দলের কোন একজন একতারা বাজিয়ে গেয়ে উঠলেন-
আমার সকল দুখের প্রদীপ জ্বেলে দিবস গেলে করব নিবেদন
আমার ব্যথার পূজা হয় নি সমাপন ॥
যখন বেলা-শেষের ছায়ায় পাখিরা যায় আপন কুলায়-মাঝে, সন্ধ্যাপূজার ঘণ্টা যখন বাজে,
তখন আপন শেষ শিখাটি জ্বালবে এ জীবন–আমার ব্যথার পূজা হবে সমাপন ॥
গাতকের মত আমারো যাপিত জীবনের হাহাকার এই গান যেন ভুলিয়ে দিলো। আমি স্থবির এক ভালো লাগায় সাতঁড়ে বেড়াতে লাগলাম।
রাতের আকাশ তখন তারাদের দখলে।
লেখিকাঃ ক্যাথেরিনা কেয়া রোজারিও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সাবেক ছাত্রী। বর্তমানে আমেরিকার ফ্লোরিডা ডিপার্টমেন্ট অফ এডুকেশনে কর্মরত। প্রবাসী ক্যাথেরিনা কেয়া’র মন পরে থাকে বাংলাদেশে। নাড়ীর টান, শিকড়ের টানে তাঁর অব্যক্ত বেদনার কথা গুলো ফুঁটে উঠে ফেসবুক টাইমলাইনে। এমনি এক আজকের এই পোস্টটি তাঁর ফেসবুক টাইমলাইন থেকে সংগৃহিত।
কিউএনবি/বিপুল/ ৩০.০৫.২০২২ খ্রিস্টাব্দ/ বিকাল ৪.৫৭