
ডেস্ক নিউজ : নিহত বাধন দাস মাগুরা জেলা শহরের সাধন দাসের ছেলে। বর্তমানে তিনি ফরিদপুর শহরের শোভারামপুরে বসবাস করেন। অপরজন প্রান্ত বিশ্বাস শহরের শোভারামপুর এলাকার গোকুল বিশ্বাসের ছেলে। সম্পর্কে তারা শ্যালক-দুলাভাই।
জানা যায়, ফরিদপুর শহরের শোভারামপুর এলাকার বাধন দাস তার শ্যালক প্রান্ত বিশ্বাসকে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেলে মাগুরায় যাচ্ছিলেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পথিমধ্যে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের মধুখালী উপজেলার ছকরিকান্দি এলাকায় পৌঁছামাত্রই সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা তাকে থামতে সিগনাল দেন। সিগনাল উপেক্ষা করে চলে গেলে সেখানে পড়ে যান তারা দুজন।
এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা মুক্তা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস মোটরসাইকেলে থাকা প্রান্ত ও বাধনকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তারা মারা যান। ওই সময় স্থানীয় বিক্ষুব্দ জনতার সঙ্গে পুলিশ সদস্যদের কথা কাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। উত্তেজিত জনতা এ সময় সড়ক অবরোধ করে রাখে। পরে সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, মোটরসাইকেলটিকে সিগনাল দিলে তারা না থামানোয় পুলিশ তাদের শরীরে লাঠি দিয়ে আঘাত করে। এতে তারা পড়ে গিয়ে এ দুর্ঘটনার শিকার হন।
নিহতর পারিবারিক সূত্র জানায়, বাধন দাসের গ্রামের বাড়ি মাগুরা শহরের পূর্বাশা সিনেমা হলের পাশে। বাধন ফরিদপুর শহরের কাপড়ের দোকানে কর্মচারী হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করার সুবাদে সেখানেই স্থায়ীভাবে বসবাস করছিলেন। শহরের শোভারামপুর এলাকায় বিয়ে করার পর থেকে বাধন শোভারামপুরে শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন। রোববার সকালে শ্যালক প্রান্ত বিশ্বাসকে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেলে ঘুরতে বের হয়ে দুর্ঘটনায় দুজনই মারা যান।
তবে করিমপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘দুর্ঘটনার জন্য পুলিশ দায়ী নয়। এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে আসলে উত্তেজিত জনতা তাদের ওপর চড়াও হয়।’তিনি আরও জানান, দুর্ঘটনাকবলিত বাসটির চালক পালিয়ে যাওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। বাসটি জব্দ করা হয়েছে। মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
কিউটিভি/আয়শা/১২ জানুয়ারী ২০২৫,/রাত ৯:৫০