
ডেস্ক নিউজ : বুধবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে জামালপুর শহরের একটি রেস্টুরেন্টে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন মামলার বাদী সামসুন্নাহার সুমাইয়া। তিনি মেলান্দহ উপজেলার তেঘরিয়া সিরিঘাট গ্রামের মৃত শামসুল হক আকন্দের মেয়ে।
সুমাইয়া বলেন, ‘গত ২১ অক্টোবর ২০২৪ সালে তেঘরিয়া সিরিঘাট এলাকায় আমেরিকা প্রবাসী হাফিজ রওশন কাজল তার মায়ের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আশপাশের কয়েক গ্রামের কয়েশ’ মানুষকে জমায়েত করে খাবারের আয়োজন করে। দুপুরের দিকে তার ভাই হাফিজ রায়হান সাদার নেতৃত্বে হাফিজ রওশন কাজলের সন্ত্রাসী বাহিনী দেশীয় অস্ত্রসহ নিয়ে আমার ভাই সায়েদুল ইসলাম শিপনের কাছে ১৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।
আমার ভাই অস্বীকার করিলে তারা আমাদের বাড়ি-ঘর, গেইট, টিনের বেড়া ভাঙচুর করে এবং টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটপাট করে নিয়ে যায়। এছাড়া আমার ভাইকে ঘরের ভেতরে আটকিয়ে রাখে এবং হাফিজ রায়হান সাদার ছোট ভাই মৃত হাফিজ মওলা ভুট্টোর ছেলে ফাহাদ হাফিজ দিগন্ত আমাদের সবাইকে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।’
সুমাইয়া বলেন, ‘গত ২০ ডিসেম্বরে হাফিজ রায়হান সাদা এলাকায় লোকজনের কাছে ঘোষণা দিয়ে অপরিচিত মহিলার মাধ্যমে থানায় মানব পাচারের একটি মামলা দায়ের করায়। এরপর তার প্রভাব খাটিয়ে আমাদের বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া প্রতিনিয়ত বিভিন্ন মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিয়ে আসছে। অতঃপর লিগ্যাল এইড আদালত মামলার মাধ্যমে বিরোধ নিস্পত্তি না করতে পারায় আমাদের গত ২২ ডিসেম্বরে উপযুক্ত আদালতে মামলা দায়ের করার প্রতিবেদন দিলে গত ২৪ ডিসেম্বর আমরা আদালতে হাফিজ রায়হান সাদাসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ্য করে এবং অজ্ঞাত নামা আরও ১০-১৫ জনকে আসামি করে দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা দায়ের করার পর আদালত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মামলাটি থানায় অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দেন। এ মামলায় আসামি গ্রেফতারের সুযোগ থাকলেও তা করছে না পুলিশ।’
কিউটিভি/আয়শা/০৮ জানুয়ারী ২০২৫,/রাত ১০:৩৩