
ডেস্ক নিউজ : রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবনে খাদিজা রা. ছিলেন আল্লাহ তাআলার এক বিশেষ নেয়ামতস্বরূপ। দীর্ঘ ২৫ বছর যাবৎ আল্লাহর নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সাহচর্য দিয়ে, সেবা-যত্ন দিয়ে, বিপদাপদে সাহস ও শক্তি দিয়ে, অভাব-অনটনে অর্থসম্পদ দিয়ে, ধ্যান ও জ্ঞানের প্রয়োজনে প্রেরণা ও পরামর্শ দিয়ে ইসলাম বীজের অঙ্কুুরোদগম এবং শিশু ইসলামের লালন-পালনের ক্ষেত্রে তিনি যে অসামান্য অবদান রেখেছেন ইসলামের ইতিহাসে তার কোনো তুলনা মিলে না।
آمَنَتْ بِىْ حِيْنَ كَفَرَ بِىْ النَّاسُ، وَصَدَقَتْنِىْ حِيْنَ كَذَبَنِيْ النَّاسُ، وَأَشْرَكَتْنِىْ فِيْ مَالِهَا حِيْنَ حَرَّمَنِىْ النَّاسُ، وَرَزَقَنِىْ اللهُ وَلَدَهَا وَحَرَّمَ وَلَدَ غَيْرِهَا যে সময় লোকেরা আমার সঙ্গে কুফরি করল সেই সময়ে তিনি আমার প্রতি নিটোল বিশ্বাস স্থাপন করলেন, যে সময় লোকেরা আমাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করল সে সময় তিনি আমাকে দান করলেন, আর লোকেরা যখন আমাকে বঞ্চিত করল, তখন তিনি আমাকে তার সম্পদে অংশীদার করলেন। আল্লাহ আমাকে তার গর্ভে সন্তানাদি প্রদান করলেন, অন্য কোনো স্ত্রীর গর্ভে সন্তান দেননি। (মুসনাদে আহমাদ, ৬ষ্ঠ খণ্ড, পৃ. : ১১৮)
সহিহ বুখারিতে আবু হুরায়রা রা. হতে বর্ণিত আছে যে, জিবরাইল আ. নবী কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট আগমন করে বললেন যে,
হে আল্লাহর রাসুল! খাদিজা রা. আগমন করছেন। তার নিকট একটি পাত্র আছে। যার মধ্যে তরকারি, খাদ্যবস্তু অথবা পানীয় বস্তু আছে। যখন সে আপনার নিকট এসে পৌঁছবে তখন আপনি তাকে তার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে সালাম বলবেন এবং জান্নাতে মুতির তৈরি একটি মহলের সুসংবাদ প্রদান করবেন। যার মধ্যে কোনো হট্টগোল বা হইচই হবে না, কোনো প্রকার ক্লান্তি ও শ্রান্তি আসবে না। (সহিহ বুখারি খাদিজার সাথে নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিবাহ ও তার ফজিলত অধ্যায়, ১ম খণ্ড, পৃ : ৫৩৯)
কিউটিভি/আয়শা/২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪,/বিকাল ৫:২০