ব্রেকিং নিউজ
কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপিকে নিয়ে পাহাড়সম অভিযোগঃ ১০ মাসেও হয়নি কাউন্সিল সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম : শিক্ষক,লেখক-সাহিত্যিক হিসেবে খ্যাতিম্যান একজনের বিদায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি প্রশিক্ষণ ম্যানুয়ালে উপকৃত হবেন শিক্ষার্থী ও শিক্ষক- ভিসি ড.আমানুল্লাহ ফেরদৌস বাজে ব্যাটিংয়ে ফাইনাল মিস বাংলাদেশের জনস হপকিন্সের সাথে কাজ করবে বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়  মজিদা কলেজে ৪০ লাখ টাকার নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ, তোলপাড় কুড়িগ্রাম খারুয়ার পাড়ে ভাঙ্গনের শব্দ থেমে যাক — বদরুদ্দীন উমর : শিরদাঁড়া বাঁকা করে বাঁকা হয়নি যার কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির আহবায়ক ভারতীয় নাগরিক, এনআইডি বাতিলে হাইকোর্টের রুল আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে সন্ত্রাসী হামলা : এইচআর হেডসহ আহত ১৫

নবীজির জন্মের বছর হস্তিবাহিনীর সাথে কী ঘটেছিল?

Ayesha Siddika | আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ - ১০:১৬:১৫ পিএম

ডেস্ক নিউজ : মাওলানা নোমান বিল্লাহ সে যখন দেখল আরবদের মক্কায় সবাই হজ করতে যায় তাই সে সিদ্ধান্ত নিল মক্কা বাদ দিয়ে ইয়েমেনে সবাইকে হজ করাতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে কাবার আদলে একটি ঘরও নির্মাণ করলো। যার নাম ছিল ‘কুল্লাইস’।

সব জায়গায় ঘোষণা করা হলো যে এ বছর থেকে হজ কাবা ঘরের বদলে এখানে হবে। তার এই ঘোষণা সবখানে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করল। কুরাইশরা রাগে ফেটে পড়ল। কথিত আছে, তাদের কেউ একজন এসে ওই জাঁকজমকপূর্ণ গির্জায় গোপনে ঢুকে পায়খানা করে যায়।
 
অন্য বর্ণনায় এসেছে, কুরাইশদের একদল যুবক ওই গির্জায় ঢুকে আগুন ধরিয়ে দেয়, যাতে গির্জা পুড়ে ধূলিসাৎ হয়ে যায়। এর প্রতিশোধে কাবা শরিফ ধ্বংস করার জন্য আবরাহা বিশাল বাহিনী প্রস্তুত করে। কোনো বর্ণনায় ২০ হাজার এবং কোনো বর্ণনায় ৬০ হাজার সেনার কথা এসেছে। ওই বাহিনীর সঙ্গে নাজ্জাশির পক্ষ থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বিশালবপু হস্তিবাহিনীও পাঠানো হয়, যার নেতৃত্বে ছিল মাহমুদ নামের একটি হাতি।
 
হস্তিবাহিনীর সংখ্যা কেউ বলেছে একটি, কেউ বলেছে দুটি, আটটি বা ১২টি বা তারও বেশি। তবে মাহমুদ ছিল দলের নেতা। বাকিরা মাহমুদের অনুগামী। এদের নেয়া হয়েছিল এ জন্য যে লোহার শিকলের এক প্রান্ত কাবার দেয়ালে বেঁধে অন্য প্রান্ত হাতির ঘাড়ে বাঁধা হবে। এরপর হাতিকে হাঁকিয়ে দেয়া হবে, যাতে পুরো কাবাগৃহ একসঙ্গে উপড়ে পড়ে।
 
আবরাহা যখন মক্কা অভিমুখে রওনা হওয়ার উদ্যোগ নেন, হাতিকে মক্কার দিকে হাঁকাতে চেষ্টা করেন, তখন হাতি বসে পড়ে। তারপর শতচেষ্টা করেও হাতিকে মক্কামুখী করা যায়নি। অথচ ইয়েমেনমুখী করা হলেই হাতি দৌড় দেয়, মক্কামুখী করলেই বসে পড়ে। এরই মধ্যে সাগরের দিক থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে অচেনা পাখি আসতে শুরু করে, যাদের সবার মুখে একটি এবং দুই পায়ে দুটি কঙ্কর ছিল, যা ডাল ও গমের মতো। এই কঙ্কর যার মাথায় পড়েছে, সে-ই ধ্বংস হয়েছে। কিছু আঘাতপ্রাপ্তকে মরতে দেখে বাকি সবাই দিগ্বিদিক ছুটে পালাতে শুরু করে। ইতিহাসবিদ ইবনে ইসহাক বলেন, আবরাহার বাহিনী মক্কা থেকে পালিয়ে ইয়েমেন পর্যন্ত যেতে থাকে আর মরতে থাকে।
 
আবরাহা তার প্রিয় রাজধানী ছানআ শহরে পৌঁছে লোকদের কাছে আল্লাহর আজাবের ঘটনা বলার পর মৃত্যুবরণ করে। এ সময় তার বুক ফেটে কলিজা বেরিয়ে যায়। (ইবনে কাসির ও তাফসিরে মুনির) আবরাহার এই হামলার সময় মক্কার অধিবাসীরা প্রাণভয়ে পাহাড়ে-প্রান্তরে ছড়িয়ে পড়ল এবং পাহাড়ের গুহায় আত্মগোপন করল। সেনাদলের ওপর আল্লাহর আজাব অবতীর্ণ হলে তারা নিশ্চিন্তে নিজ নিজ বাড়িঘরে ফিরে যায়। (সিরাতে ইবনে হিশাম ১/৪৩, ৫৬)
 
বেশির ভাগ সিরাত রচয়িতার অভিমত অনুযায়ী, এই ঘটনা রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্মের ৫০ অথবা ৫৫ দিন আগে ঘটেছিল। সে সময় ছিল মহররম মাস। ৫৭০ খ্রিস্টাব্দের ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে অথবা মার্চের শুরুতে এই ঘটনা ঘটেছিল। প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ পাক তার নবী এবং পবিত্র ঘর কাবা শরিফকে কেন্দ্র করে এর ভূমিকাস্বরূপ এ ঘটনা ঘটিয়েছিলেন। যেমন—৫৮৭ খ্রিস্টাব্দে বখতে নসর মুকাদ্দাস অধিকার করেছিল।
 
এর আগে ৭০ খ্রিস্টাব্দে রোমানরা বায়তুল মুকাদ্দাস অধিকার করেছিল। পক্ষান্তরে কাবার ওপর খ্রিস্টানরা কখনোই আধিপত্য বিস্তার করতে পারেনি। অথচ সে সময় খ্রিস্টানরা ছিল আল্লাহর বিশ্বাসী মুসলমান আর কাবার অধিকারীরা ছিল পৌত্তলিক।

 

 

কিউটিভি/আয়শা/১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪,/রাত ১০:১৪

▎সর্বশেষ

ad