
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বার্তা সংস্থা এপি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) ইতালিতে জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনে আন্তর্জাতিক নেতারা গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করেন। শিগগিরই যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানো যাবে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘না, সম্ভাবনা নেই। তবে আমি আশা হারাইনি।’
প্রস্তাবটিতে স্থায়ীভাবে যুদ্ধবিরতি ও গাজা থেকে সব ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহারের নিশ্চয়তাসহ কয়েকটি পরিবর্তনের দাবি করেছে হামাস। স্থায়ী যুদ্ধবিরতি মেনে নিতে ইসরাইলকে চাপ দেয়ার জন্য মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের প্রতি আহ্বান জানান হামাস নেতারা। বাইডেনের ঘোষিত প্রস্তাবে এসব বিধান থাকলেও ইসরাইল শর্ত বাস্তবায়ন করবে কিনা তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে হামাস।
এর আগে বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার প্রতি ইসরাইল পুরোপুরি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নয় বলে যে দাবি করা হয়েছিল তা প্রত্যাখ্যান করেন। সুলিভান বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে ‘অবশিষ্ট ফাঁকগুলো দূর করতে ও একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে আমরা কীভাবে কাজ করব তা খুঁজে বের করা’।
গেল ৩১ মে গাজায় তিন ধাপে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের প্রস্তাব দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এই প্রস্তাবের মূল কথা একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, জিম্মিদের মুক্তি আর ফিলিস্তিনি বন্দিদের ছেড়ে দেয়া।
প্রথম ধাপে হবে জিম্মি ও বন্দি বিনিময় এবং সাময়িক যুদ্ধবিরতি। দ্বিতীয় ধাপে সব জিম্মিকে মুক্তি দেয়া। গাজা থেকে ইসরাইলি সেনাদের সরিয়ে নেয়া। আর তৃতীয় ধাপে গাজা পুনর্গঠনে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা।
গত ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। আট মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা এ হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আর আহত হয়েছেন ৮২ হাজারেরও বেশি।
কিউটিভি/আয়শা/১৪ জুন ২০২৪,/বিকাল ৩:৫০