
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কয়েকদিন আগেই ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডতে অবস্থিত দ্বিতীয় বৃহত্তম হাসপাতাল আল কুদস খালি করতে বলেছিল ইসরায়েল। কিন্তু হাসপাতালটিতে গুরুত্বর রোগীসহ আইসিইউতে অনেক রোগী আছেন। অনেক শিশুকে ইনকিউবেটরে রাখা হয়েছে। তাদের অন্যত্র স্থানান্তর করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ ও রেড ক্রিসেন্ট।
এ ছাড়া আল-কুদস হাসপাতাল ও এর প্রাঙ্গণে গাজার প্রায় ১৪ হাজার বাস্তুচ্যুত মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন বলেও জানিয়েছে তারা।
তবে সতর্কবার্তা দেওয়ার পর থেকেই আল কুদস হাসপাতালের আশেপাশে বোমা হামলা তীব্র করেছে ইসরায়েল বাহিনী। আর্টিলারি এবং বিমান হামলায় প্রতিনিয়ত কাঁপছে আল-কুদস হাসপাতাল। বাস্তুচ্যুত বেসামরিক মানুষ এবং কর্মরত কর্মীরাও ভয় ও আতঙ্কে সময় পার করছে। বিশেষ করে শিশুরা ভীতসন্ত্রস্ত। খবর বিবিসি।
গতকাল হাসপাতালের একজন চিকিৎসক বিবিসি নিউজ টুনাইটকে এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়েছেন, আল-কুদস হাসপাতালের আশপাশে বোমাবর্ষণ শুরু হয়েছে। হাসপাতালের পেছনে আবাসিক ভবনে বোমা হামলা চালিয়েছে।
ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি জানিয়েছে, মঙ্গলবারও আল-কুদস হাসপাতালের আশপাশের এলাকায় প্রচণ্ড বোমাবর্ষণ চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মহাপরিচালক মারওয়ান জিলানি বিবিসিকে জানান, গাজা শহরের আল কুদস হাসপাতালের চারপাশে রাতারাতি প্রচণ্ড বোমাবর্ষণ হয়েছে। হামলা এতটা কাছেই ছিল যে পুরো বিল্ডিং কেঁপে উঠছিল বলে জানিয়েছে তার সহকর্মীরা।
ইসরায়েলি হামলায় আল কুদসের দুটি ভবন জরুরি চিকিৎসা কেন্দ্র এবং প্রধান গুদাম গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং সেগুলো পরিষেবার বাইরে বলে জানিয়েছেন জিলানি।
তিনি আরও জানান হামলার পর থেকে এই দ্বিতীয় বৃহত্তম হাসপাতালটি কোনো সাহায্য পায়নি এবং স্টাফ সদস্যরা শারীরিক ও মানসিক চাপের কারণে ভেঙে পড়ছে।
কিউটিভি/অনিমা/৩১.১০.২০২৩/দুুপুর ২:১৬