রোজার দিনে যত খাও তার কোনো হিসাব নাই- ধর্মের নামে অপপ্রচার!

uploader3 | আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০২৩ - ০৪:০৯:০২ পিএম

ডেস্ক নিউজ : ধর্মের নামে অপপ্রচার, বলে যে, রোজার দিনে যত খাও তার কোনো হিসাব নাই। আরে আপনার পেট কি দেহ কি হিসাব ছাড়া থাকবে নাকি। যে খাবারের হিসাব নাই! 

সবসময় পরিমিত সংযমের মাসে তো আরো পরিমিত রোজা রাখার পরে যদি আপনার ওজন দু-তিন কেজি না কমে তাহলে বুঝতে হবে যে আপনি রোজা রাখেন নাই।দু-তিন কেজি ওজন কমা মানে কিন্তু উইক হওয়া না। দু-তিন কেজি ওজন কমা মানে হচ্ছে আপনার স্ট্রেন্থ আরো বাড়া।

একবার হলো একজন সাহাবী তার ভুঁড়িটা একটু বড় ছিল। তিনি বললেন যে দেখ এই ভুঁড়িটা ভরার চেয়ে অতিরিক্ত খাবার যদি তুমি সদকা দিয়ে দাও ডোনেট করো এটা অনেক ভালো হবে তোমার জন্যে উপকারি হবে।

হযরত ওমর তো আরো কড়া ছিলেন। সাধারণত মানুষ বলে যে খাওদাও ফুর্তি করো বেশ ভালো খাও ভালো জীবনযাপন করো। আসলে ভালো খাওয়া বেশি খেয়ে কখনো কেউ ভালো জীবনযাপন করতে পারে না। বেশি খেলে কোরআনের ঐ যে কথা, আর এ বিষয়ে বাড়াবাড়ি করো না। অর্থাৎ করলে তোমাদের ওপর গজব অবধারিত আর যার ওপর গজব পড়বে সে বিনাশিত হবে।

হযরত ওমর তার বড় ভুঁড়ি দেখে জিজ্ঞেস করলেন যে, তোমার এটা কী? সে খুব তৃপ্তির সাথে বলল এটা আল্লাহর ব্লেসিংস আশীর্বাদ। হযরত ওমর তো কড়া লোক ছিলেন বলেন যে না এটা আল্লাহর আশীর্বাদ না এটা আল্লাহর পানিশমেন্ট, এটা আল্লাহর পানিশমেন্ট।

আসলে যতদিন পর্যন্ত সাহাবীরা এবং সাহাবীদের পরে যারা তাবেইন ছিলেন তাবে তাবেইন। তারা যতদিন পর্যন্ত নবীজীর এই সুন্নতকে অনুসরণ করেছেন অর্থাৎ পরিমিত খাবার গ্রহণ করেছেন তাদের অসুখবিসুখ খুব কম হতো।

মদিনাতে অসুখবিসুখ বাড়া শুরু হলো চার খলিফার তিরোধানের পরে যখন সম্পদের প্রাচুর্য হলো এবং প্রচুর খাবার আসতে শুরু করল তখন।

নবীজীর জামানাতে নবীজী কিন্তু কখনো খুব মিহি আটা খেতেন না, ময়দা খেতেন না কখনো। উনি সবসময় রুটি খেতেন। এখন যে জিনিসগুলো বলা হচ্ছে হোলগ্রেইন খাও সাদা খেও না।

হোয়াইট কালার যেটা হচ্ছে যে সাদা চাল থেকে শুরু করে সাদা আটা মানে ময়দা সাদা আলু গোলআলুর চেয়ে মিষ্টি আলু কিন্তু অনেক বেটার।

পাস্তা তারপরে আরো কী কী আছে যেগুলো সাদা। এগুলো যত না খাওয়া হয় তত ভালো। যত রিফাইন হবে ফুড এবং চিনি। চিনিটাকে মনে করবেন যে এটা হচ্ছে মিসরিছুরি যে খেতে মিষ্টি কিন্তু কেটে ফেলে সবকিছু।

চিনি হচ্ছে মিসরিরছুরি মানে আপনার সর্বনাশ করার জন্যে আপনার স্বাস্থ্যের ১২টা বাজানোর জন্যে অতিরিক্ত চিনি-ই হচ্ছে যথেষ্ট। অতএব চিনির ব্যাপারে খুব আমরা সতর্ক থাকব।

ফিজিকেল ফিটনেসের জন্যে কোরআনের শিক্ষা- ‘পরিমিত খাও! এবং সবচেয়ে বড় জিনিস হচ্ছে যে খাবার পরিমিত খাওয়া।

এবং এখানেই কোরআনের বিশেষত্ব যে কোরআন আপনাকে সুস্থ জীবনাচারের শিক্ষা দিয়েছে, সুস্থ জীবনাচার অনুসরণ করতে বলেছে এবং পরিষ্কার বলে দিয়েছে যে কী করলে কী হবে। মানা না মানা এটা তো প্রত্যেকের স্বাধীনতা কোরআন দিয়ে দিয়েছে যে মানবে কি মানবে না এটা তোমার ব্যাপার। মানলে তুমি পুরস্কৃত হবে আর না মানলে তুমি তিরস্কৃত হবে তুমি বিনাশিত হবে।

কারণ কোরআনের শিক্ষা কোরআনের জ্ঞানার্জন করা ফরজ এই কারণে যাতে আপনি আপনার নিজের যত্ন নিতে পারেন যাতে আপনি টোটালি ফিট থাকতে পারেন।

এই টোটাল ফিটনেসের ম্যানুয়েল হচ্ছে কোরআন। আপনি যত কোরআনের গভীরে ডুবে যাবেন তত দেখবেন ফিজিকেল ফিটনেসের জন্যে যা প্রয়োজন পরতে পরতে রয়েছে, মেন্টাল ফিটনেসের জন্যে যা প্রয়োজন পরতে পরতে সেই উপদেশ রয়েছে সেই নির্দেশনাবলী রয়েছে। সোশ্যাল ফিটনেসের জন্যে যা প্রয়োজন পরতে পরতে তার নির্দেশনা রয়েছে।

কিউটিভি/অনিমা/০৩ এপ্রিল ২০২৩,/বিকাল ৪:০৮

▎সর্বশেষ

ad