ব্রেকিং নিউজ
কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপিকে নিয়ে পাহাড়সম অভিযোগঃ ১০ মাসেও হয়নি কাউন্সিল সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম : শিক্ষক,লেখক-সাহিত্যিক হিসেবে খ্যাতিম্যান একজনের বিদায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি প্রশিক্ষণ ম্যানুয়ালে উপকৃত হবেন শিক্ষার্থী ও শিক্ষক- ভিসি ড.আমানুল্লাহ ফেরদৌস বাজে ব্যাটিংয়ে ফাইনাল মিস বাংলাদেশের জনস হপকিন্সের সাথে কাজ করবে বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়  মজিদা কলেজে ৪০ লাখ টাকার নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ, তোলপাড় কুড়িগ্রাম খারুয়ার পাড়ে ভাঙ্গনের শব্দ থেমে যাক — বদরুদ্দীন উমর : শিরদাঁড়া বাঁকা করে বাঁকা হয়নি যার কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির আহবায়ক ভারতীয় নাগরিক, এনআইডি বাতিলে হাইকোর্টের রুল আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে সন্ত্রাসী হামলা : এইচআর হেডসহ আহত ১৫

ক্রমেই বার্ধক্যের দিকে ধাবিত হচ্ছে যে দেশ

Ayesha Siddika | আপডেট: ১৭ মার্চ ২০২৩ - ০২:৪১:৩২ পিএম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিয়ের প্রতি আগ্রহ নেই নাগরিকদের। ফলে কমেই চলেছে জন্মহার। এরই মধ্যে কম জন্মহারের রেকর্ড হয়েছে দেশটিতে। ফলে চিন্তায় পড়েছেন বিশেষজ্ঞরা। কেননা, এর প্রভাবে ক্রমেই বার্ধক্যের দিকে ধাবিত হচ্ছে দেশটি। এমনই প্রকট সমস্যায় পড়েছে এশিয়ার দেশ দক্ষিণ কোরিয়া।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছর ১ লাখ ৯২ হাজার মানুষ বিয়ে করেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। ১০ বছর আগে ২০১২ সালে বিয়ের সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ২৭ হাজার। অর্থাৎ প্রায় ৪০ শতাংশ কমে গেছে। বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, ১৯৭০ সালের পর এই প্রথম কোনও বছর এত কম সংখ্যায় বিয়ে হয়েছে দেশটিতে। তাদের ব্যাখ্যায়, বিয়ে করার প্রবণতাই কমে গেছে সমাজে। ছেলেদের বিয়ের গড় বয়স ৩৩.৭ বছর। আর মেয়েদের ৩১.৩ বছর। এতেও রেকর্ড। ছেলেদের বিয়ের বয়স ১.৬ বছর বেড়েছে। আর মেয়েদের বেড়েছে ১.৯ বছর। গত বছর যারা বিয়ে করেছেন, তাদের ৮০ শতাংশেরই প্রথম বিয়ে এটি।

জন্মহারও কমেছেঅস্বাভাবিকভাবে। গত বছর দেশটিতে সবচেয়ে কম সংখ্যক শিশুর জন্ম হয়েছে, এই সংখ্যা মাত্র ২ লাখ ৪৯ হাজার। দেশটিতে জন্মহার বৃদ্ধির জন্য ২০০৬ সাল থেকে বাসিন্দাদের উৎসাহ দিচ্ছে সরকার। এই খাতে কমপক্ষে ২১ হাজার ৩০০ কোটি ডলার ব্যয় করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। দেশের জনসংখ্যা ক্রমশ কমছে। 

বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এভাবে চললে জনসংখ্যা ৫ কোটি ২০ লাখ থেকে কমে, ২০৬৭ সালে ৩ কোটি ৯০ লাখে দাঁড়াবে। দেশবাসীর মধ্যবর্তী বয়স দাঁড়াবে ৬২ বছর। মিডিয়ান এজ বা মধ্যবর্তী বয়স হল, যে বয়স কোনও জনগোষ্ঠীকে সমান দু’ভাগে ভাগ করে। অর্থাৎ এ ক্ষেত্রে ৬২ বছর বয়সের উপরে জনসংখ্যা এবং ৬২- এর নীচে জনসংখ্যা সমান।

কিন্তু জনসংখ্যা এভাবে কমছে কেন? এ নিয়ে দ্বিমত রয়েছে। অনেকের বক্তব্য, সন্তান মানুষ করার খরচ ক্রমবর্ধমান। আবার অনেকে বলছে, সমাজে প্রতিযোগিতা বেড়েছে। ভাল চাকরি পাওয়া খুব কঠিন। ভাল চাকরি পেলেও তাতে নিরাপত্তা নেই। এদিকে, জিনিসপত্রের দামও আকাশছোঁয়া। চাকরিরত নারীরা সন্তান ও অফিস সামলাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। তাই অনেকেই সন্তান নিতে চাইছেন না। সূত্র: ব্লুমবার্গ

 

 

কিউটিভি/আয়শা/১৭ মার্চ ২০২৩,/দুপুর ২:৩৩

▎সর্বশেষ

ad