
ডেস্ক নিউজ : ১৬৯ টি কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়ার পর দ্বিতীয় কর্মদিবস সোমবার দেশের পুঁজিবাজারে ব্যাপক লেনদেন কমেছে। সেই সঙ্গে কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। এদিন মাত্র ২৫ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ১৩৭টির। যার ধাক্কা লেগেছে সূচকেও। সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) আজ লেনদেন হয়েছে মাত্র ১৯৮ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এর আগে লেনদেনের এমন শোচনীয় অবস্থা হয়েছিল ২০২০ সালে করোনা মহামারি শুরুর সময়ে। পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় দেখা গেছে, করোনার বছর ২০২০ সালের ৭ জুলাই ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ১৩৮ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। আজ ২ বছর ৫ মাস ২০ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন হয়েছে এ বাজারে।
এর আগে পুঁজিবাজারে লেনদেন তলানিতে নামলেও গত দুই বছরে লেনদেন ২০০ কোটির নিচে নামেনি, কিন্তু সোমবার হাতবদল হয় ১৯৮ কোটি ৮০ লাখ ৭৩ হাজার টাকা, যা চলতি বছরের তো বটেই, গত ২ বছর ৫ মাসে সর্বনিম্ন।
১৬৯টি কোম্পানির শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্য বা ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের পরও অংশগ্রহণ বাড়েনি বিনিয়োগকারীদের। রোববার বড়দিনের ছুটির পর সোমবার প্রথম কর্মদিবসে সূচক পতনের সঙ্গে লেনদেন নামল ২০০ কোটির নিচে। এর আগে সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়েছিল ২২৭ কোটি ৭৪ লাখ ৭৮ হাজার টাকার শেয়ার। সেটি ছিল ২০২০ সালের ১৬ জুলাইয়ের পর সর্বনিম্ন লেনদেন।
এর চেয়ে কমল লেনদেন হয়েছিল ২০২০ সালের ৭ জুলাই। ওই দিন হাতবদল হয়েছিল ১৩৮ কোটি ৫৬ লাখ ৫৫ হাজার টাকা। এদিকে অর্ধেকের কিছু বেশি কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত আসার দিন বুধবার লেনদেন ছিল ৩৩৩ কোটি ৫৮ লাখ ৯৮ হাজার টাকা। বৃহস্পতিবার লেনদেন কমে ১০৫ কোটি ৮৪ লাখ ২০ হাজার টাকা বা ৩১ দশমিক ৭২ শতাংশ।সোমবার সেটি কমল ২৮ কোটি ৯৪ লাখ ৫ হাজার টাকা বা ১২ দশমিক ৭০ শতাংশ।
পাঁচ কর্মদিবস পর বৃহস্পতিবার সূচকের বেড়েছিল ৩ পয়েন্ট। এক কর্মদিবস পরই ফের কমল ১২ পয়েন্ট। এর মধ্য দিয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স অবস্থান করে ৬ হাজার ১৮৯ পয়েন্টে।
দরবৃদ্ধির তুলনায় দরপতন হয় পাঁচ গুণের বেশি। ২৫টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দরপতন হয় ১৩৭টির। ফ্লোর প্রাইসে বা আগের দিনের দরে হাতবদল হয় ১৬৭টির, যা বৃহস্পতিবার ছিল ১৫২টি। ফ্লোর প্রাইসে গত কয়েক মাসে সেটিই ছিল সবচেয়ে কম। আজ ৬৩টি কোম্পানির একটি শেয়ারও লেনদেন হয়নি। এর মধ্যে লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেটের কারণে লেনদেন বন্ধ ছিল দুটির। আগের কর্মদিবসে রেকর্ড ডেটের বাইরে কোনো শেয়ার লেনদেন হয়নি ৮১টি কোম্পানির।
করোনাভাইরাসের কারণে ২০২১ সালের ৫ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় বিধিনিষেধ বা লকডাউন দেয়ার ঘোষণায় বাজারে যে আতঙ্ক ছিল, এখনকার পরিস্থিতি তার চেয়ে খারাপ। এই বিধিনিষেধে লেনদেন বন্ধ হয়ে যাবে, এমন শঙ্কায় ৪ এপ্রিল হাতবদল হয় ২৩৬ কোটি ৬০ লাখ ৭৪ হাজার টাকা, তবে লেনদেন চলবে, এমন ঘোষণার পরের দিন থেকে ঘুরে দাঁড়ায় পুঁজিবাজার।
অপর বাজার সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই আগের দিনের চেয়ে ২৩ পয়েন্ট বেড়ে ১৮ হাজার ৩০৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এ বাজারে লেনদেন হওয়া ১৩৭টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৯টির ও কমেছে ৪১টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৭৭টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
কিউটিভি/আয়শা/২৬ ডিসেম্বর ২০২২,খ্রিস্টাব্দ/রাত ৮:৩০






