ব্রেকিং নিউজ
আই হ্যাভ আ প্ল্যান : তারেক রহমান সময় এসেছে সকলে মিলে দেশ গড়ার : তারেক রহমান আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনের খবর কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসনে বিতর্কিতদের প্রশ্রয় : শংকিত জেলাবাসী গণতন্ত্রের জন্য চলা সংগ্রাম-লড়াই চালিয়ে যাব : মির্জা ফখরুল ঢাকায় এমপি প্রার্থী ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ কুড়িগ্রাম-৪ আসনে মমতাজ হোসেন লিপিকে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণার দাবিতে রৌমারীতে মশাল মিছিল আর্থিক অনিয়মে অভিযুক্ত সাবেক অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলামঃ অভিযোগের ঝড় খলিলগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজে কুড়িগ্রামের খলিলগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক তিন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত শুরু কুড়িগ্রামে পরপর ৬ ডিসির মধ্যে ৪ জনই নারী ডিসি

পাকিস্তানে জঙ্গি-সেনা সংঘর্ষ ক্রমেই বাড়ছে

Ayesha Siddika | আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০২২ - ০৬:৫৯:১২ পিএম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তে জঙ্গি-সেনা সংঘর্ষের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। শান্তি আলোচনা ভেস্তে যাওয়ায় এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। রবিবারও বালুচিস্তানে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গে সংঘর্ষে ছয় সেনার মৃত্যু হয়েছে বলে দেশটির সেনাবাহিনী জানিয়েছে। এ ছাড়াও আহত হয়েছেন কয়েকজন।

গত নভেম্বরে তেহরিক-ই-তালেবান বা পাকিস্তানি তালেবানের সঙ্গে পাকিস্তান সরকারের আলোচনা ভেস্তে যায়। এর পরই ওই এলাকায় পাকিস্তানি তালেবানের সঙ্গে সেনাদের নিয়মিত সংঘর্ষ হচ্ছে।

পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এবং প্রধান গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই জানিয়েছে, তিনটি আলাদা ঘটনায় সেনাবাহিনীর একজন ক্যাপ্টেনসহ মোট ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে পাঁচজন মারা গেছেন কোহলু জেলায়। ঝব জেলায় সন্ত্রাসবাদীরা পকিস্তানে ঢুকতে চাইছিল। সেখানে সেনাদের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদীদের সংঘর্ষে একজন সেনা মারা যান এবং দুজন আহত হন।

এ ছাড়া বালুচিস্তানে গ্রেনেড হামলায় ১১ জন আহত হয়েছেন। দুই দিন আগেই ইসলামাবাদে গাড়িবোমা বিস্ফোরণে পুলিশের এক গাড়িচালকের মৃত্যু হয়েছে।

কেন সহিংসতা বাড়ছে?

বালুচিস্তানে আফগানিস্তান ও ইরানের সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে পাকিস্তানের।   নভেম্বরে অস্ত্রবিরতি প্রত্যাহার করে নেয় পাকিস্তানি তালেবান। এর পর থেকেই এখানে সংঘর্ষ ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে।

আফগানিস্তানের তালেবান ও পাকিস্তানের তেহরিক-ই-তালেবান এক নয়। যদিও এ দুই সংগঠনের মধ্যে যোগাযোগ রয়েছে। দুটি সংগঠনই কট্টর মতাদর্শে বিশ্বাস করে।

পাকিস্তানে কয়েক দশকের সহিংসতায় তেহরিক-ই-তালেবান ৮০ হাজার মানুষকে হত্যা করেছে। আফগানিস্তানে তালেবানের ক্ষমতায় আসা এবং যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো বাহিনীর চলে যাওয়ার পর তারা আরো সক্রিয় হয়েছে। তারা সেনা এবং বিভিন্ন গোষ্ঠীকে আক্রমণ করেছে।  

বালুচিস্তানে চীনের বিনিয়োগ পরিকল্পনায় তেহরিক-ই-তালেবান রীতিমতো ক্ষুব্ধ। চীন তাদের শিনচিয়াং থেকে বালুচিস্তান পর্যন্ত রাস্তা ও রেলব্যবস্থা তৈরি করছে।   আর শিনচিয়াংয়ে উইঘুর মুসলিমদের ওপর অত্যাচার করা হয় বলে বেশ কিছুদিন ধরে পশ্চিমা দেশগুলো সোচ্চার। পাকিস্তানি তালেবানও চীনের এই বিনিয়োগের বিরোধী।

সূত্র : ডয়চে ভেলে

 

 

কিউটিভি/আয়শা/২৬ ডিসেম্বর ২০২২,খ্রিস্টাব্দ/সন্ধ্যা ৬:৫৮

▎সর্বশেষ

ad