আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরানের আল-কুদস ফোর্সের প্রধান কাসেম সুলাইমানিকে হত্যার বছরপূর্তিতে ইরাকের রাজধানী বাগদাদে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ নিয়ে রাস্তায় নেমে এসেছেন।
২০২০ সালের পহেলা জানুয়ারিতে বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মার্কিন ড্রোন হামলায় সোলাইমানি ও তার ইরাকি সঙ্গী নিহত হন। শনিবার (১ জানুয়ারি ) ইরাকের পপুলার মোবিলাইজেশন ফোর্সেস (পিএমএফ) বিক্ষোভের আয়োজন করেছিল।-খবর আল-জাজিরার
এতে ‘আমেরিকার সন্ত্রাসবাদ বন্ধ করতে হবে’ বলেও স্লোগান দিতে দেখা যায়। একটি প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘শহীদদের জমিনে আজকের পর তোমাদের আর থাকতে দেব না’।
ঘটনাস্থল থেকে আল-জাজিরার সাংবাদিক মাহমুদু আবেদল ওয়াহেদ বলেন, বিক্ষোভে ইরাক থেকে মার্কিন ও বিদেশি বাহিনী প্রত্যাহারের দাবি তোলা হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ এতে অংশ নিয়েছেন। পপুলার মোবিলাইজেশন ফোর্সেসের সদস্যরা ইরাকে মার্কিন বাহিনীর উপস্থিতির বিরুদ্ধে স্লোগান দেন।
তারা ইরাকি সরকারকে দোষারোপ করছেন। তাদের ধারণা, মার্কিন বাহিনীর সঙ্গে ইরাকি সরকারের যোগসাজশ রয়েছে। এছাড়া জেনারেল কাসেম সোলাইমানি ও আবু মাহদি আল-মুহান্দিসকে হত্যার ঘটনার দুবছর চলে গেলেও এ নিয়ে ইরাকের সরকারের তরফে কোনো স্বচ্ছ তদন্ত করা হয়নি।
শনিবার ইরান-ঘেঁষা শিয়া গোষ্ঠী মোবিলাইজেশন ফোর্সেসের সদস্যরা ইরাকের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে বাসযোগে জাদরিয়াহ শহরে জড়ো হন। প্রভাবশালী সশস্ত্র গোষ্ঠীটির প্রধান কার্যালয়ের কাছ থেকে তারা বিক্ষোভ শুরু করেন।
সোলাইমানি ও মোহান্দিসকে হত্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইরাকে মার্কিন স্বার্থে কয়েক দফা হামলার জবাবে তিনি এ নির্দেশ দেওয়ার দাবি করেন।
মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের সামরিক কৌশলের স্থপতি সোলাইমানিকে হত্যা সবাইকে অবাক করে দিয়েছিল। এতে ওয়াশিংটনের সঙ্গে তেহরানের সরাসরি সংঘাতেরও শঙ্কা দেখা দিয়েছিল।
কিউটিভি/রেশমা/২রা জানুয়ারি, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ/দুপুর ২:০২