ব্রেকিং নিউজ
কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপিকে নিয়ে পাহাড়সম অভিযোগঃ ১০ মাসেও হয়নি কাউন্সিল সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম : শিক্ষক,লেখক-সাহিত্যিক হিসেবে খ্যাতিম্যান একজনের বিদায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি প্রশিক্ষণ ম্যানুয়ালে উপকৃত হবেন শিক্ষার্থী ও শিক্ষক- ভিসি ড.আমানুল্লাহ ফেরদৌস বাজে ব্যাটিংয়ে ফাইনাল মিস বাংলাদেশের জনস হপকিন্সের সাথে কাজ করবে বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়  মজিদা কলেজে ৪০ লাখ টাকার নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ, তোলপাড় কুড়িগ্রাম খারুয়ার পাড়ে ভাঙ্গনের শব্দ থেমে যাক — বদরুদ্দীন উমর : শিরদাঁড়া বাঁকা করে বাঁকা হয়নি যার কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির আহবায়ক ভারতীয় নাগরিক, এনআইডি বাতিলে হাইকোর্টের রুল আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে সন্ত্রাসী হামলা : এইচআর হেডসহ আহত ১৫

বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, অভিযুক্ত নরসিংদী ডিসি অফিসের সহকারী নাজির

Ayesha Siddika | আপডেট: ২৪ জুন ২০২৫ - ০৬:৫৭:২৮ পিএম

মোঃ সালাহউদ্দিন আহমেদ নরসিংদী জেলা প্রতিনিধি : নরসিংদী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী নাজির ইকরাম হোসেন (৪২)-এর বিরুদ্ধে এক নারীকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে বলা হয়, প্রেম ও বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তাকে মাধবদীর একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে ধর্ষণ করেন তিনি।

ভুক্তভোগী নারী জানান, তিনি প্যারালাইসিস আক্রান্ত মুক্তিযোদ্ধা পিতার জন্য হুইল চেয়ারের আবেদন করেছিলেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে। সেখান থেকে পাওয়া মোবাইল নম্বরে ফোন করে সহায়তার আশ্বাস দেন সহকারী নাজির ইকরাম হোসেন। এরপর ফোনালাপের মাধ্যমে ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে এবং এক পর্যায়ে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সম্পর্ক এগিয়ে নেন তিনি।

ওই সম্পর্কের সুযোগ নিয়ে ইকরাম হোসেন ভুক্তভোগীর কাছ থেকে দুই লাখ টাকা ধার নেন এবং একাধিকবার বিভিন্ন জেলায় ভ্রমণে নিয়ে যান। পরবর্তীতে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে গত ৯ মার্চ সন্ধ্যায় তাকে মাধবদী বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন গাজী আবাসিক হোটেলে নিয়ে যান। সেখানে কাজী এসে বিয়ে পড়াবেন বলে জানিয়ে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার মাঝেই কক্ষে একাধিকবার ধর্ষণ করেন ইকরাম।

১০ মার্চ সকাল পর্যন্ত হোটেল কক্ষে অবস্থান করে দফায় দফায় ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। এ সময় ওই নারীর গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ছিঁড়ে গেলে তা মেরামতের কথা বলে নিয়ে নেন তিনি। পরে বিয়ের জন্য চাপ দিলে ইকরাম হোসেন চাকরির সীমাবদ্ধতা দেখিয়ে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। একপর্যায়ে গত ১৬ জুন তিনি স্পষ্টভাবে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান এবং ধার নেওয়া টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানান।

ভুক্তভোগী বিষয়টি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিহাব সারার অভিকে মৌখিকভাবে জানান, কিন্তু কোনো সাড়া না পেয়ে থানায় গেলে আদালতে অভিযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়। পরে তিনি ২৩ জুন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন।

আদালতের বিচারক মোঃ আলী আহসান অভিযোগটি আমলে নিয়ে মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) এফআইআর করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। মাধবদী থানার ওসি মো. নজরুল ইসলাম বলেন, “আদালতের নির্দেশ এখনও হাতে পাইনি। আদেশ পেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

অভিযুক্ত ইকরাম হোসেন নরসিংদী পৌর এলাকার পূর্ব ভেলানগরের বাসিন্দা এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সহকারী নাজির হিসেবে কর্মরত। বর্তমানে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ রয়েছে।

 

 

কিউটিভি/আয়শা/২৪ জুন ২০২৫, /সন্ধ্যা ৬:৫২

▎সর্বশেষ

ad