
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরুর পর মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস। তাদের মোকাবিলায় মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে সেনা মোতায়েন করে যুক্তরাষ্ট্র। পরবর্তীতে আইএস নির্মূল হলে ইরাক ও সিরিয়া থেকে সীমিত পরিসরে সেনা সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ওয়াশিংটন। এবার ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর সব সেনা সরিয়ে নেয়ার গুঞ্জন উঠেছে মার্কিন গণমাধ্যমে। এরমধ্যেই মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন সেনা প্রত্যাহারের পরিকল্পনার খসড়া তৈরি করেছে বলেও জানা গেছে।
পেন্টাগনের দুই উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তারা সিরিয়া থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। সেনা প্রত্যাহারের সময়সীমা এক থেকে তিন মাসের মধ্যে হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও পেন্টাগনের পক্ষে থেকে কোনো বক্তব্য দেয়া হয়নি।
ট্রাম্প দ্রুতই সিরিয়া থেকে দুই হাজার মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করবে- এমন বার্তা এরমধ্যেই ইসরাইলের কাছে পাঠিয়েছেন হোয়াইট হাউসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। ইসরাইলকে অবহিত করা হলেও এ বিষয়ে মার্কিন সমর্থিত কুর্দি গোষ্ঠী এসডিএফকে কিছুই জানানো হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন সংগঠনটির মুখপাত্র। আইএস এমন সুযোগের অপেক্ষায় ছিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে আইএস আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে বলেও শঙ্কা তার।
এদিকে, সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল শারার সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। স্থানীয় সময় বুধবারের (৫ ফেব্রুয়ারি) ওই ফোনালাপে সিরিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানা গেছে। এছাড়া দামেস্কের ওপর আরোপ করা আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়েও আলোচনা করেন তারা। এসময় শারাকে ফ্রান্স সফরের আমন্ত্রণ জানান ম্যাক্রোঁ।
কিউটিভি/আয়শা/৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫,/বিকাল ৫:৪৩