
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সূত্রের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্র দুই দেশই চায় যে, গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আসুক। এ কারণে তারা বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আগ্রহী।’
সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বলছে,
বাংলাদেশের স্থানীয় জনগণের মধ্যে চীনের প্রভাব বাড়ছে। এছাড়া বিআরআই প্রকল্পের আওতায় চীনের কাছ থেকে ঋণও নিয়েছে বাংলাদেশ। এসব নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে। ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের মাথাব্যথার বড় কারণ। ‘টু প্লাস টু’ বৈঠকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আরও একটি সূত্র জানায়,বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ এবং ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের প্রভাব দিন দিন বাড়ছে। মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কায় এখনই চীনের শক্তিশালী প্রভাব রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র তাই চায় না যে, বাংলাদেশও এ প্রভাবের মধ্যে পড়ুক।প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং দেশটির সঙ্গে নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব বাড়ানোর পাশাপাশি বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়েও আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্র এর মধ্যেই বেশ কয়েকবার বলেছে যে, বাংলাদেশে তারা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায়।
ভারত-যুক্তরাষ্ট্র পঞ্চম ‘টু প্লাস টু’ মন্ত্রী পর্যায়ের সংলাপে অংশ নিতে শুক্রবার (১০ নভেম্বর) দিল্লিতে পৌঁছেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। এ সংলাপে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কের নানা দিক উঠে আসার পাশাপাশি বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন বা রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রসঙ্গ আসবে কি-না, তা নিয়ে শুরু থেকেই বিভিন্ন পক্ষের কৌতূহল রয়েছে।
কিন্তু দেশ দুটির এ সংলাপে কী নিয়ে হবে আলোচনা? সংশ্লিষ্টরা বলছেন, টু প্লাস টু সংলাপে দ্রুত সম্প্রসারিত ভারত-যুক্তরাষ্ট্র কৌশলগত সম্পর্কের বিষয়ে ব্যাপক পর্যালোচনা করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এছাড়াও প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সহযোগিতা, ইন্দো-প্যাসিফিক বা ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় আঞ্চলিক কৌশল এবং দুদেশের জনগণের মধ্যকার সম্পর্ক উন্নয়নের মতো বিভিন্ন বিষয়ের ওপর আলোকপাত করা হতে পারে। জানা গেছে, অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও লয়েড অস্টিনের সঙ্গে পৃথক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও করবেন এস জয়শঙ্কর এবং রাজনাথ সিং।ধারণা করা হচ্ছে, দুদেশের মন্ত্রী পর্যায়ের এ বৈঠকে আঞ্চলিক ইস্যুও প্রাধান্য পাবে। সেক্ষেত্রে আলোচনায় বাংলাদেশ প্রসঙ্গ আসতে পারে। তবে এ বিষয়ে দিল্লি কিংবা ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।
কিউটিভি/আয়শা/১০ নভেম্বর ২০২৩,/বিকাল ৩:৩০