দৌলতপুরে পদ্মার চরে মাসকলাই চাষে চাষীদের সাফল্য

Rakhi Majumder | আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০২২ - ১২:১৯:২৩ পিএম

মো. সাইদুল আনাম, কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : পদ্মায় বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর শীতকালীন ফসল উৎপাদনের আগে মধ্যবর্তী সময়ে মাসকলাই চাষ করে থাকেন চাষীরা। নদী বিধৌত পদ্মার চরে মাসকলাই চাষ করে এবছরও ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের চাষীরা। ফলন ভাল হওয়ায় কাটা মাড়াই শেষে ডাল জাতীয় এ ফসল ঘরেও তুলেছেন তারা। কম খরচ ও অল্প পরিশ্রমে অর্থকারী এ ফসল চাষ করে আর্থিক স্বচ্ছলতাও ফিরেছে দরিদ্র চরবাসীর।

দৌলতপুরে চলতি মৌসুমে ৩হাজার ২২০হেক্টর জমিতে মাসকলাই চাষ হয়েছিল। এরমধ্যে নদী বেষ্টিত পদ্মার চরাঞ্চলে চাষ হয়েছে ২হাজার ৪০০হেক্টর জমিতে। মাসকলাই চাষে চাষীদের বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে গড়ে মাত্র ৪হাজার টাকা। আর ফলন হয়েছে বিঘাপ্রতি ৩মন থেকে ৪মন পর্যন্ত। উৎপাদন খরচ বিহীন ও বিনা পরিশ্রমে মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে খরচ বাদ দিয়ে ৪হাজার টাকা মন দরে বিক্রয় করে চাষীদের লাভ হচ্ছে ৮ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত।উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের চল্লিশপাড়া গ্রামের চাষী সোহেল আহমেদ জানান, এবছর সে ৩বিঘা জমিতে মাস কলাই চাষ করেছিলেন। খরচ হয়েছে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। ৪ মন হারে ফলন হয়েছে তার। খরচ বাদ দিয়ে বেশ ভাল লাভ হয়েছে। তবে তিনি বেশী দামের আশায় প্রায় অর্ধেক কলাই সংরক্ষণও করেছেন বলে জানিয়েছেন।

কৃষকের ক্ষেত থেকে পরিপক্ক মাসকলাই গরু বা মহিষের গাড়িতে করে কৃষকের খোলায় পৌঁছে দিয়েও বাড়তি আয় করছেন কৃষকরা। আবার মেশিনে মাসকলাই মাড়াই করেও আয় করছেন কৃষিযন্ত্র ব্যবহারকারীরা। তারা প্রতিমন মাসকলাই মাড়াই করে আড়াই কেজি হারে সংগ্রহ করে তারাও অধিক মুনাফা অর্জন করেছেন বলে জানিয়েছেন জুয়েল হোসেন নামে এক কৃষিযন্ত্র ব্যবহারকারী।আবার চাষীদের কাছ থেকে মাসকলাই ক্রয় করে খুচরা বাজারে ৪ হাজার টাকা মন দরে বিক্রয় করে চাষীদের পাশাপাশি খুচরা ব্যবসায়ীরাও লাভবান হয়েছেন বা হচ্ছেন এমন কথা জানিয়েছেন বোরহান আলী নামে এক খুচরা ব্যবসায়ী।

কৃষি বিভাগের পরামর্শের পাশাপাশি বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে আধুনিক ও উচ্চফলনশীল জাতের মাসকলাই বীজ সরবরাহ, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার ও প্রয়োজনীয় প্রণোদনা দেওয়ায় এবছরও মাসকলাইয়ের ভাল ফলন হয়েছে বলে জানিয়েছেন দৌলতপুর কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. নুরুল ইসলাম।অনাবাদী পদ্মার চরে অর্থকারী ফসল মাসকলাই সহ সবধরণের ফসল চাষে সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা ও প্রণোদনা পেলে কৃষকদের ফসল উৎপাদনে আগ্রহ বাড়বে বলে জানিয়েছে চরবাসী।

কিউটিভি/অনিমা/২৪ ডিসেম্বর ২০২২,খ্রিস্টাব্দ/দুপুর ১২:১৯

▎সর্বশেষ

ad