কুষ্টিয়ায় নানা আয়োজনে মুক্ত দিবস পালিত

Ayesha Siddika | আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২২ - ০৬:৩৬:২৪ পিএম

মো. সাইদুল আনাম, কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : নানা আয়োজনে কুষ্টিয়া মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে রবিবার সকাল ৯টায় কুষ্টিয়া কালেক্টরেট চত্বরে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মো. খাইরুল আলম ও কুষ্টিয়া মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ড রফিকুল আলম টুকু সহ সর্বস্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ।

এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এরপর জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্যদিয়ে জাতীয় পতাকা ও মুক্তিযুদ্ধের পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে একটি র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। শেষে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও বিকেলে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাত সাড়ে ১১টায় যশোর ক্যান্টনমেন্ট থেকে ১৪৭জন সেনাবাহিনী স্বশস্ত্র অবস্থায় কুষ্টিয়ায় এসে অবস্থান গ্রহণ করে এবং ওই রাতেই সারা শহরে সান্ধ্য আইনজারী করা হয়। ২৬ মার্চ সান্ধ্য আইন ভেঙ্গে ঘর থেকে খাবার কিনতে বের হওয়ায় ৪জন নিরীহ মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয় এবং ২৭ মার্চ সেনাবাহিনীর উপর হামলার চেষ্টাকালে একজন ছাত্র শহীদ হন। এ ঘটনার পর সাধারণ মানুষ সংগবদ্ধ হয়ে উঠে। তারা পাাকিস্তান বাহিনীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়।

কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বংশীতলা, আড়পাড়া, ধলনগর, ব্যাঙগাড়ী ও ১০ডিসেম্বর সকাল ১০টা থেকে পরদিন ভোররাত পর্যন্ত কুষ্টিয়া শহরের চৌড়হাস এলাকায় মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর যৌথভাবে পাকিস্তান সেনাদের সাথে সন্মুখ যুদ্ধে লিপ্ত হয়। এ যুদ্ধে পাকসেনা ৩০জন, মিত্রবাহিনীর ৭০জন এবং মুক্তিবাহিনী ৭জন নিহত হ’ন। তাদের অনেকের লাশ আজও ফিরে পায়নি স্বজনেরা। এ যুদ্ধে পাকিস্তান বাহিনী পরাজিত হয়ে পিছু হটতে থাকে। অবশেষে ১১ ডিসেম্বর সকালে কুষ্টিয়া শত্রুমুক্ত হয়। উড়ানো হয় বিজয় পতাকা।

 

 

কিউটিভি/আয়শা/১১ ডিসেম্বর ২০২২,খ্রিস্টাব্দ/সন্ধ্যা ৬:২৩

▎সর্বশেষ

ad