
ডেস্ক নিউজ : মাওলানা শরিফ হাসান শাহীন
إِنَّ الَّذِينَ يُحِبُّونَ أَنْ تَشِيعَ الْفَاحِشَةُ فِي الَّذِينَ آمَنُوا لَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ فِي الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ যারা চায় মুমিনদের মধ্যে অশ্লীলতার প্রচার ঘটুক, তাদের জন্য দুনিয়া ও আখিরাতে রয়েছে কঠিন শাস্তি (সুরা নুর:১৯)
এই আয়াতটি নাজিল হয়েছিল আম্মাজান আয়েশা সিদ্দিকা রা. এর বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ ঘটনার পর। তখন কিছু মুনাফিক মুসলমানদের মধ্যে অপবাদ ছড়িয়ে দিয়েছিল, আর আল্লাহ তাআলা তাতে স্পষ্টভাবে ঘোষণা করেন যে, এই কাজ মুমিনের কাজ নয় বরং এটি ঈমানের বিপরীত।
নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
مَن بَهَتَ مُسْلِمًا أَوْ مُسْلِمَةً أَوْ قَالَ فِيهِ مَا لَيْسَ فِيهِ أَقَامَهُ اللَّهُ عَلَى رَدْغَةِ الْخَبَالِ حَتَّى يَخْرُجَ مِمَّا قَالَ যে কোনো মুসলিম পুরুষ বা নারীর বিরুদ্ধে এমন কথা বলে যা তার মধ্যে নেই, আল্লাহ তাআলা তাকে রদঘাতুল খাবাল’-এর (জাহান্নামের পুঁজের) স্থানে দাঁড় করাবেন যতক্ষণ না সে নিজের কথার জন্য শাস্তি ভোগ করে। (সুনানু আবি দাউদ:৩৫৮৩) এ হাদিসটি প্রমাণ করে যে, মিথ্যা অপবাদ শুধু দুনিয়ায় নয়, আখিরাতেও ভয়াবহ শাস্তির কারণ হবে।
মিথ্যা আপবাদ সামাজিক বিপর্যয়
নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
পরিত্রাণের পথ
مَا يَلْفِظُ مِنْ قَوْلٍ إِلَّا لَدَيْهِ رَقِيبٌ عَتِيدٌ মানুষের মুখ থেকে যে কোনো কথা উচ্চারিত হয়, তার পাশে রয়েছে একজন প্রস্তুত রক্ষক (ফেরেশতা), যিনি তা লিখে রাখেন। (সুরা কাফ:১৮)
মিথ্যা তোহমত এমন এক বিষ, যা সমাজের আস্থা ও ঈমানের শিকড়কে পুড়িয়ে দেয়। একজন সত্যনিষ্ঠ মুমিন কখনোই কাউকে মিথ্যা অভিযোগে অভিযুক্ত করতে পারে না, কারণ সে জানে, যে অন্যের ইজ্জত নষ্ট করে, সে নিজের ঈমান ধ্বংস করে।
আয়শা/১৯ অক্টোবর ২০২৫,/বিকাল ৩:১৯