
ধর্ম ডেস্ক : পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বহুবার নির্দেশ দিয়েছেন যেন মানুষ রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর আনুগত্য করে, তাঁর আদর্শ অনুসরণ করে, তাঁর পথকে নিজের জীবনের পাথেয় হিসেবে গ্রহণ করে।
এখানে নবীজির জীবনের একটি অলৌকিক ঘটনা তুলে ধরা হলো:
ইবনু আসাকির, জালহুমাহ বিন উরফুতাহ থেকে বর্ণনা করেছেন, ‘আমি একবার মক্কায় গেলাম। দুর্ভিক্ষের কারণে মানুষ তখন অত্যন্ত সংকটাপন্ন অবস্থায় ছিল। কুরাইশরা আবু তালিবকে বললেন,
হে আবু তালিব! আরববাসীরা দুর্ভিক্ষে চরম আকালের সম্মুখীন হয়েছেন। চলুন সকলে বৃষ্টির জন্য মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করি। এ কথা শোনার পর আবু তালিব এক বালককে (বালক মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সঙ্গে নিয়ে বের হলেন। ওই বালককে আকাশে মেঘাচ্ছন্ন এমন এক সূর্য বলে মনে হচ্ছিল যা থেকে ঘন মেঘমালা যেন এখনই আলাদা হয়ে গেল। বালকের আশপাশে আরও অন্যান্য বালকও ছিল, কিন্তু এ বালকটির মুখমণ্ডল থেকে এ বৈশিষ্ট্য যেন ছড়িয়ে পড়ছিল।
আবু তালিব সে বালককে হাত ধরে কাবাগৃহের কাছে নিয়ে গেলেন এবং কাবার দেয়ালের সঙ্গে তাঁর পিঠ লাগিয়ে তাঁকে দাঁড়িয়ে থাকতে বললেন। বালক তাঁর চাচার হাতের আঙুল ধরে দাঁড়িয়ে থাকলেন। সে সময় আকাশে এক টুকরো মেঘও ছিল না। অথচ কিছুক্ষণের মধ্যেই মেঘে মেঘে আকাশ ছেয়ে গিয়ে আঁধার ঘনিয়ে এলো এবং মুষলধারে বৃষ্টিপাত শুরু হলো।
বৃষ্টিপাতের পরিমাণ এতো বেশি হলো যে, উপত্যকায় প্লাবন সৃষ্টি হয়ে গেল এবং এর ফলে শহর ও মরু অঞ্চল পুনরায় সতেজ-সজীব হয়ে উঠল। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে আবু তালিব বালক মুহাম্মাদের প্রশংসায় কবিতা রচনা করেন:
وأبيضَ يُستسقى الغَمَام بوجهه ** ثِمالُ اليتامى عِصْمَةٌ للأرامل
‘তিনি অত্যন্ত সৌন্দর্যমণ্ডিত। তাঁর চেহারা মুবারক দ্বারা রহমতের বৃষ্টি অন্বেষণ করা হয়ে থাকে। তিনি এতিমদের আশ্রয়স্থল এবং স্বামীহারাদের রক্ষক। (মুখতাসারুস সিরাহ পৃ. : ১৫)
আয়শা/১৭ অক্টোবর ২০২৫,/সন্ধ্যা ৭:০৫