
ডেস্ক নিউজ : নবীজিকে শৈশব থেকেই সব ধরনের মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখা হয়েছে। নবীজির জন্মের ৪র্থ কিংবা ৫ম বছরে বক্ষ বিদারণের ঘটনা ঘটে। (ইবনু ইসহাকের বর্ণনানুযায়ী জানা যায়—ঘটনাটি হয়েছিল তৃতীয় বছরে।
ইবনু হিশাম, ১/১৬৪-১৬৫) আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত ঘটনাটি হচ্ছে, ‘একদিন নবীজি সঙ্গী-সাথিদের সঙ্গে খেলাধুলা করছিলেন এমন সময় জিবরাইল (আ.) সেখানে এসে উপস্থিত হন। তারপর তাঁকে একটু দূরে নিয়ে গিয়ে চিত করে শুইয়ে দিলেন এবং তাঁর বক্ষ বিদীর্ণ করে হৃৎপিণ্ড বের করে আনলেন। তারপর তার মধ্য থেকে কিছুটা জমাট রক্ত বের করে নিয়ে বললেন,
এটা হচ্ছে শয়তানের অংশ যা তোমার মধ্যে ছিল।
তারপর হৃৎপিণ্ড একটি সোনার পাত্রে রেখে যমযমের পানি দিয়ে ধুয়ে তা যথাস্থানে প্রতিস্থাপন করে দিলেন। এ সময় তাঁর খেলার সাথিরা দৌড়ে গিয়ে হালিমাকে বলল, ‘মুহাম্মাদ নিহত হয়েছেন।’ হালিমা এবং তাঁর স্বামী অস্থির হয়ে সেখানে উপস্থিত হয়ে নবীজির মুখমণ্ডলে বিষণ্ন এবং পেরেশানির ছাপ লক্ষ করলেন।
এ অবস্থার মধ্যে তারা তাঁকে বাড়িতে নিয়ে এসে তাঁর সেবাযত্ন করেন।’ (মুসলিম, বাবুল ইসরা, ১/৯২) আনাস রা. বলেন, ‘আমি নবীজির বুকে ওই সেলাইয়ের চিহ্ন দেখেছি।’