
ডেস্ক নিউজ : মণ্ডপে মণ্ডপে ঢাকের বোল। শঙ্খধ্বনিতে মুখর প্রাঙ্গণ। দেবী দুর্গার আগমনি সুরে ভক্তকুল উলুধ্বনিতে মেতেছে। রোববার মহাষষ্ঠী তিথিতে বেলগাছের নিচে ঘট স্থাপন করে দশভুজা দেবী দুর্গার আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে শারদীয় দুর্গাপূজার মূল আয়োজন। দেবী দুর্গার সঙ্গে মণ্ডপে মণ্ডপে অধিষ্ঠিত হয়েছেন লক্ষ্মী, গণেশ, কার্তিক, সরস্বতী।
দেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মাঝে আনন্দের জোয়ার। পূজা-অর্চনা, ভক্তিমূলক সংগীতানুষ্ঠান, প্রসাদ বিতরণ, আরতি প্রতিযোগিতাসহ নানা আয়োজনে আরও চারদিন মেতে থাকবেন তারা। আজ দুর্গাপূজার মহাসপ্তমী। দেবীর আগমন পূর্বাহ্নের মধ্যে সপ্তমী বিহিত পূজা হবে। রয়েছে অঞ্জলি প্রদান।
এ বছর দেবী দুর্গা মর্ত্যে এসেছেন গজে চড়ে। হিন্দু শাস্ত্রমতে, এর অর্থ মর্ত্যলোক ভরে উঠবে সুখ-শান্তি-সমৃদ্ধিতে। দুর্গা যাবেন দোলায় চড়ে। দেবী দুর্গা দোলায় বা পালকিতে করে আসা বা যাওয়ার অর্থ-পৃথিবীতে মহামারি বা মড়ক, ভূমিকম্প, খরা, যুদ্ধ, অতিমৃত্যুর শঙ্কা।
রাজধানীর রমনা কালীমন্দিরের পুরোহিত হরিচাঁদ চক্রবর্তী জানান, প্রতিবছরের মতো এবারও সকাল ৭টায় শুরু হয়েছে ষষ্ঠীপূজা, যা শেষ হয় সকাল ৯টার দিকে।
রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দির, রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠ, রমনা কালীমন্দির ও আনন্দময়ী আশ্রম, বরোদেশ্বরী কালীমাতা মন্দির, গুলশান-বনানী সর্বজনীন পূজা উদযাপন পরিষদ মণ্ডপ, পুরান ঢাকার তাঁতীবাজার, শাঁখারীবাজারসহ সারা দেশে উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যে দুর্গাপূজা শুরু হয়েছে।
ষষ্ঠী পূজা উপলক্ষ্যে রোববার সকাল থেকেই মণ্ডপগুলোয় ভক্তদের আগমন শুরু হয়। দেবীভক্তরা নানা আচারে অংশ নেন। আজ মহাসপ্তমীতে সকালে নবপত্রিকা স্থাপন করা হবে। ‘নবপত্রিকা’ শব্দটির আক্ষরিক অর্থ ৯টি গাছের পাতা। কদলী বা রম্ভা (কলা), কচু, হরিদ্রা (হলুদ), জয়ন্তী, বিল্ব (বেল), দাড়িম্ব (দাড়িম), অশোক, মান ও ধান-এই ৯টি উদ্ভিদকে পাতাসহ একটি কলাগাছের সঙ্গে একত্র করা হয়। পরে একজোড়া বেলসহ শ্বেত অপরাজিতা লতা দিয়ে বেঁধে লাল পাড় সাদা শাড়ি জড়িয়ে ঘোমটা দেওয়া বধূর আকার দেওয়া হয়। তারপর তাতে সিঁদুর দিয়ে সপরিবার দেবীপ্রতিমার ডান দিকে দাঁড় করিয়ে পূজা করা হয়।
অনিমা/২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, /বিকাল ৩:১৩