
মোঃ সালাহউদ্দিন আহমেদ: নরসিংদীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সাথে পুলিশ ও বিজিবির সংঘর্ষে তাহমিদ ভুইয়া (১৫) ও ইমন (১৮) নামে দুই শিক্ষার্থী নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভেলানগর-জেলখানা মোড় এলাকায় দফায় দফায় এ সংঘর্ষ হয়।
নিহত তাহমিদ ভুইয়া (১৫) নরসিংদী সদর উপজেলার চিনিশপুর নন্দীপাড়া এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে ও এনকেএম হাইস্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ও ইমন (১৮) পলাশ উপজেলার দড়িপাড়া এলাকার কাইয়ুম ওরফে কালাচাঁন মিয়ার ছেলে। ইমন চলতি বছর শিবপুরের কারারচর মৌলভী তোফাজ্জল হোসেন উচ্চ বিদ্যালয় হতে এসএসসি পাস করে।
আহতদের নরসিংদী জেলা হাসপাতাল, সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। বিকালে পূর্বঘোষিত সময় অনুযায়ী নরসিংদী শহর হতে বিভিন্ন সড়ক দিয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করতে জেলখানা মোড়ের দিকে যায় আন্দোলনকারীরা। এসময় পুলিশ ও বিজিবি সড়ক অবরোধে বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে আন্দোলনকারীদের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়।
এতে আন্দোলনকারীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ, পুলিশের টিয়াশেল নিক্ষেপ ও গুলির ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশসহ শতাধিক আহত হয়। আহতদের নরসিংদী জেলা হাসপাতাল ও সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। বেশ কয়েকজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। নরসিংদীর ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে আনার পর তাহমিদ ভুইয়া (১৫) নামে এক শিক্ষার্থীকে মৃত ঘোষণা করা হয় বলে জানান হাসপাতালটির তত্ত্বাবধায়ক মিজানুর রহমান।
অপরদিকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেয়ার পর ইমন নামে একজনকে মৃত ঘোষণা করা হয় বলে জানান হাসপাতালটির আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) মাহমুদুল কবির বাশার। এ বিষয়ে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে তাৎক্ষনিক কোন প্রতিক্রিয়া জানা সম্ভব হয়নি।
কিউটিভি/আয়শা/১৮ জুলাই ২০২৪,/সন্ধ্যা ৭:৫০