
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলাইনার ডিউক ইউনিভার্সিটির স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠানের বক্তা ইসরাইলের প্রতি সমর্থন জানালে, অনুষ্ঠান থেকে বেরিয়ে যান অনেক শিক্ষার্থী। যাওয়ার আগে তারা গাজায় যুদ্ধ বন্ধের দাবি জানান। ভার্জিনিয়ার কমনওয়েলথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক ডজন শিক্ষার্থীও সমাবর্তন অনুষ্ঠান থেকে বেরিয়ে গেছেন। মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চলমান ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভের মধ্যেই এই ঘটনা ঘটে।
এদিন একই ইস্যুতে বিক্ষোভ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের আরও বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এসময় পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতিও ঘটে। চলমান বিক্ষোভে প্রায় ৩ হাজার শিক্ষার্থীকে আটক করেছে মার্কিন পুলিশ। বাংলাদেশিসহ অনেককে ক্যাম্পাস থেকে বহিস্কারও করা হয়েছে।
এরইমধ্যে ভয়ংকর এক তথ্য প্রকাশ করেছে মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সিএনএন। গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবিতে চলমান আন্দোলন দমনে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষকদের ওপরও নেমে এসেছে বর্বরতা। বিক্ষোভে সংহতি জানানোয় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের আটক করছে পুলিশ। অর্ধশতাধিক শিক্ষককে আটকের কথা জানিয়েছে গণমাধ্যমটি। জানা গেছে, কেবল বিক্ষোভের ভিডিও চিত্র ধারণ করার কারণেও অনেক অধ্যাপককে আটকের ঘটনা ঘটেছে। এদের মধ্যে কেউ কেউ পুলিশের মারধর, হয়রানির শিকার হয়েছেন।
এদিকে পুলিশি দমন-পীড়ন আর ধরপাকড়ের মধ্যেও অব্যাহত রয়েছে আন্দোলন। স্পেনের মাদ্রিদে তাঁবু খাটিয়ে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে আমস্টারডামে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ র্যালি বের করা হয়। নিরীহ ফিলিস্তিনিদের অধিকার রক্ষায় আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন বিক্ষোভকারীরা।
গাজায় যুদ্ধ বন্ধ, ইসরাইল সরকার ও ইসরাইলি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পর্ক ছিন্নসহ বেশ কিছু দাবিতে গত ১৭ এপ্রিল প্রথম বিক্ষোভে নামেন কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পরে যুক্তরাষ্ট্রের দেড় শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং ইউরোপের অন্তত ১২টি দেশে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৩ হাজার এবং ইউরোপে ৩ শতাধিক শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে।
সূত্র: সিএনএন
কিউটিভি/আয়শা/১৩ মে ২০২৪,/রাত ৯:৩৪