ব্রেকিং নিউজ
জিয়াউর রহমানের ৪২তম শাহাদাৎ বার্ষিকী কুড়িগ্রামে ছাত্রদলের উদ্যোগে পালিত হাইকোর্টে ড. ইউনূসের আবেদন খারিজ, ১২ কোটি টাকা কর দিতে হবে রাজধানীতে রিজভীর নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আমরা লড়াই করছি : মির্জা ফখরুল ‘নাহিদ-রুমকীর ক্যাম্পাস উপাখ্যান’ ৯০’র গণ অভ্যুত্থানের ইতিহাস-রিজভী সরকারের হিংস্রতা রাজপথে,কারাগারে সমভাবে বিরাজমান : রিজভী রিজভী’র কারামুক্তিতে ‘রিজভী মুক্তি পরিষদ’র সন্তোষ প্রকাশ মির্জাপুরে কৃষক দলের ইফতার, আলোচনা সভায় যা বললেন সাঈদ সোহরাব একজন দেশপ্রেমিক জাফরুল্লাহ চৌধুরীর চির বিদায় কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে সেবা বঞ্চিত কুড়িগ্রাম বাসী

রোজার উপকারিতা

Ayesha Siddika | আপডেট: ২৫ মার্চ ২০২৩ - ০৯:৫৯:১০ পিএম

লাইফ ষ্টাইল ডেস্ক : হার্ট ভালো থাকে

রোজা দেহের অতিরিক্ত কোলেস্টেরলের  পরিমাণ কমায়। এতে রক্তনালিতে জমে থাকা চর্বির উপাদানগুলো কমতে থাকায় হার্ট ব্লকের মতো ঝুঁকি কমে যায়। তাই যাঁদের ওজন বেশি, যাঁদের রক্তে চর্বির পরিমাণ বা কোলেস্টেরল লেভেল বেশি, তাঁরা রোজা রেখে শারীরিক ওজন কমানোসহ নানা উপকার পেতে পারেন। এতে শরীরের চর্বি এবং মেদ-ভুঁড়ি কমানো যায়, যদি না ইফতার ও সাহরিতে মাত্রাতিরিক্ত গুরুপাক ও তৈলাক্ত খাবার খাওয়া হয়।

রোজা মস্তিষ্কের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অধিক খাদ্য গ্রহণে শরীরের ওপর যেমন চাপ বৃদ্ধি পায়, তেমনি এই চাপ মস্তিষ্কের ওপরও পড়ে। বিজ্ঞানীরা গবেষণায় দেখেছেন, রোজার মাধ্যমে যে মানসিক পরিবর্তন আসে, তাতে মস্তিষ্ক থেকে এক ধরনের নিউরোট্রিফিক ফ্যাক্টর নিঃসৃত হয়, যা অধিক নিউরন তৈরিতে সাহায্য করে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ হয়

কিডনি ভালো থাকে

কিডনির মাধ্যমে শরীরে প্রতি মিনিটে এক থেকে তিন লিটার রক্ত সঞ্চালিত হয়। কিডনির কাজ হলো শরীরের বর্জ্য পদার্থগুলো প্রস্রাব আকারে মূত্রথলিতে প্রেরণ করা। রোজা অবস্থায় কিডনি বিশ্রাম পায়। ফলে এ সময় কিডনি বেশ শক্তিশালী হয়ে ওঠে।

লিভারের ওপর প্রভাব

রোজার সময় সাহরিতে যে খাবার গ্রহণ করা হয়, তা থেকে এবং লিভারে সঞ্চিত গ্লাইকোজেন থেকে সারা দিনের উপোসের সময় রক্তে প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদান সঞ্চালিত হয়। লিভারের গ্লাইকোজেন স্টোরেজ শেষ হয়ে গেলে লিভার ও অ্যাডিপোজ টিস্যুতে জমা চর্বি বিপাকের মাধ্যমে রক্তে গ্লুকোজ সরবরাহ হয়। ফলে রমজানে একজন রোজাদারের জন্য লিভারের ফ্যাট ও শরীরের বাড়তি ওজন কমার সুযোগ তৈরি হয়। যাঁদের লিভারে ফ্যাট জমা হয়েছে, তাঁদের জন্য রোজা রাখা উত্তম।

পরিপাকপ্রক্রিয়া কার্যকর হয়

রোজার মধ্য দিয়ে দীর্ঘ সময় ক্ষুধা নিবারণ হয় না, বরং ধীরে ধীরে ক্ষুধার প্রশিক্ষণ হয়। ফলে রমজান শেষে ক্ষুধার মাত্রাও কমে আসে। খাদ্যনালির পরিপাকপ্রক্রিয়া আরো কার্যকর হয়ে ওঠে, খাদ্যদ্রব্য থেকে বেশি পুষ্টি উপাদান সংগ্রহ সম্ভব হয়। তা ছাড়া রোজা রাখার ফলে আগের চেয়ে আরো দক্ষভাবে কাজ করতে শুরু করে পাকস্থলী। সবল হয় হজমযন্ত্র। ইফতারে পুষ্টিকর উপাদানগুলোকে খুব সহজেই গ্রহণ করে শরীর। অ্যাডিপোনেকটিন নামের হরমোন বৃদ্ধি পায়, যা মাংসপেশিগুলোকে খাবার থেকে আরো বেশি পুষ্টিকর উপাদান শোষণে সক্ষম করে তোলে।

রোজা একজন মানুষের শুধু পাকস্থলী বা হৃৎপিণ্ডকে সক্রিয়ই রাখে না, বরং অন্য অনেক রোগের জন্যও উপকারী; বিশেষ করে রোজার সময় ধূমপান ও নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন বন্ধ থাকে বিধায় ক্যান্সার, হার্ট ফেইলিওর, স্ট্রোকের মতো জটিল রোগগুলোর আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও অনেকে ধূমপান ছাড়তে পারেন না। তাঁদের জন্য রমজান মাস উত্তম সময়। এই মাসে ধূমপানের মতো ক্ষতিকর ও বদ-অভ্যাসগুলো ত্যাগ করুন বা কমিয়ে দিন।

 

 

কিউটিভি/আয়শা/২৫ মার্চ ২০২৩,/রাত ৯:৫৮

▎সর্বশেষ

ad