ফাঁসির রায় কার্যকরে দুর্গাপুরে মুক্তিযোদ্ধাদের আনন্দ

Ayesha Siddika | আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ - ০৭:০৬:৩২ পিএম

তোবারক হোসেন খোকন দুর্গাপুর(নেত্রকোনা)প্রতিনিধি : মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে মানবতাবিরোধী অপরাধে দুর্গাপুর উপজেলার চন্ডিগড় ইউনিয়নের খলিলুর রহমানের মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। মঙ্গলবার বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ রায় ঘোষণা করেন। ফাঁসির রায় ঘোষনার পর দুর্গাপুরের মুক্তিযোদ্ধাগন, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের মাঝে আনন্দ বিরাজ করছে।

শুরুর দিকে এ মামলায় আসামি ছিল পাঁচজন। তারা হলেন – নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার চন্ডিগড় ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত নবী হোসেনের ছেলে খলিলুর রহমান, তার ভাই আজিজুর রহমান, একই ইউনিয়নের আলমপুর গ্রামের মৃত তোরাব আলীর ছেলে আশক আলী, জানিরগাঁও গ্রামের মৃত কদর আলীর ছেলে শাহনেওয়াজ ও রমজান আলী। তবে বিচার চলাকালীন খলিলুর রহমান ছাড়া বাকি চার আসামি মৃত্যুবরণ করেন।

এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা থানা এলাকায় অবৈধ আটক, নির্যাতন, অপহরণ, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগে ধ্বংস করা, ধর্ষণচেষ্টা, ধর্ষণ, হত্যা ও গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। এরমধ্যে ২২ জনকে হত্যা, তিন জনকে ধর্ষণ, সাত জনকে ধর্ষণের চেষ্টা, চার জন অপহৃতদের মধ্যে দুইজনকে ক্যাম্পে নির্যাতন, ১৪/১৫টি বাড়িতে লুটপাট এবং ৭টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। আসামী খলিলুর রহমান ইসলামী ছাত্র সংঘের সদস্য ছিলেন। যুদ্ধের সময় রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেন। পরে চন্ডিগড় ইউনিয়নে আল বদর বাহিনীর কমান্ডার হন। বর্তমানে তিনি পলাতক রয়েছেন।

এ নিয়ে দুর্গাপুর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব হোসেন তালুকদার যুগান্তর কে বলেন, আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধনবাদ জানাই যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু করার জন্য। সারাদেশে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে রাজাকার-আলবদরগন দেশের যে ক্ষতি করেছে বাংলার মানুষ তা জানে। আজ এক চিহ্নিত রাজাকার খলিলুর রহমানের ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়ায় আমরা দুর্গাপুরের মুক্তিযোদ্ধাগন খুবই খুশি হয়েছি। প্রশাসনের কাছে জোর দাবী জানাই, খলিলুর রহমানকে খুজে বের করে দ্রুর রায় কার্যকর করুন।

 

 

কিউটিভি/আয়শা/১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২,খ্রিস্টাব্দ/সন্ধ্যা ৭:০৫

▎সর্বশেষ

ad